শিরোনাম
আফছার উদ্দিন লিটন: | আপডেট: ০৯:১৪ এএম, ২০২১-০৮-১১ 669
করোনা সমগ্র বিশ্বকে থমকে দিয়েছে। মানুষকে কর্মহীন করেছে। করোনায় বেড়েছে দারিদ্র। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারাবিশ্বের আর্থসামাজিক উন্ন্য়ন। এ থেকে সাধারণ মানুষ কখন ঘুরে দাঁড়াবে তার উপায়ও খুঁজে পাচ্ছে না অর্থনীতিবিদরা। করোনা পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন হবে। সমগ্র বিশ্ব কখন এর প্রভাব থেকে মুক্ত হবে-এ নিয়ে তাদের গবেষণা শেষ হচ্ছে না। করোনার কারণে এখনো চলছে বৈশ্বিক ক্রান্তিকাল। সারাবিশ্বের মানুষ প্রায় দেড় বছর ধরে মহামারি করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করেই যাচ্ছে। এ যুদ্ধ করতে গিয়ে হয়েছে সর্বশান্ত। এটি একটি স্নায়ুযুদ্ধ। মানুষের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার যুদ্ধ। উন্নত দেশের প্রেসিডেন্ট এবং ধনকুবেররা আজ অসহায় এই ক্ষুদ্র অনুজীব ভাইরাসের কাছে। আজ ধরাশায়ী তাদের জীবন। ধরাশায়ী তাদের চিন্তা-ভাবনা। এ যেন এক বর্ণহীন পৃথিবী। এ যেন এক অচেনা পৃথিবী। পুরো বিশ্বময় ছেয়ে গেছে নীরবতা। পৃথিবী হারিয়েছে তার চিরচেনা রূপ। এটা প্রকৃতির কেমন খেলা?
লাগাতার লকডাউনে বন্ধ রয়েছে শ্রমজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষের আয়। একেতো কোরবান ঈদ ভালোভাবে না করার যন্ত্রণা রয়েছে; তার উপর লকডাউন-যা মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামনের দিনগুলো তারা কিভাবে কাটাবে তা নিয়েও চিন্তার অন্ত নেই-অপরদিকে সিন্ডিকেটের করাল গ্রাসে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। চারদিকে বাতাসে ভেসে বেড়ায় অসহায়দের আর্তনাদ। একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে এপ্রিল মাসের লকডাউনে। তখনও রমজান মাস ছিল। সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী লকডাউন চলছে-কিন্তু থেমে নেই ব্যাংক ও এনজিওদের ঋণের টাকা উত্তোলন করা। বন্ধ হয়নি তাদের দুই-তিন মাসের জন্য ঋণের কিস্তির টাকা মওকুফ করা। চলমান লকডাউনে যেহেতু সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের আয় বাধাগ্রস্ত; সেহেতু তাদের ঋণের কিস্তিও স্থগিত করা উচিৎ। এতে ঋণ গ্রহিতারা কিছুটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলে বাঁচতে পারতো। কিন্তু এনজিও এবং ব্যাংকগুলো তা করবে না। কারণ তারা সরকার থেকে প্রণোদনা পাইনি। তথাকথিত লকডাউনের কারণে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর প্রায় ২০০ কোটি মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। অনেকের জীবনে নেমে এসেছে চরম অন্ধকার। দীর্ঘ দেড় বছর আর্থিক টানাপোড়নের কারণে অনেকের নগর জীবনের ইতি টানতে হচ্ছে-শহর ছেড়ে ইতিমধ্যে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন। গ্রামে চলে যাওয়া মানুষগুলো আবার কবে প্রিয় শহরে ফিরে আসতে পারবে তার কোনো সম্ভাবনা নেই। ফলে অহরহ বিল্ডিংয়ে এখন ‘ টু-লেট’ ঝুলছে।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে চলছে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন। ৫ আগস্টের মধ্য রাতে শেষ হচ্ছে চলমান এই লকডাউন। দেশের অর্থনীতি, জীবন-জীবিকার কথা ভেবে লকডাউন না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দিতে চান সরকার। আর তাতে সংক্রমণ অনেকটা কমে আসবে বলেও আশা করছে সরকার। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যগণ চলমান লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই তারা আবার বৈঠকে বসবেন। ওই সভার আলোকে তারা তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করবেন। লকডাউন যদি আর বাড়ানো না হয়, তাহলে এর একটা ভালো পরিকল্পনা দরকার। অর্থাৎ ধাপে ধাপে আমরা কিভাবে লকডাউন শিথিল করে সেই জায়গাটায় বিধিনিষেধের মাধ্যমে সংক্রমণটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনার সংক্রমণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যু। শনাক্তের দিক থেকে হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড। আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে হচ্ছে নতুন রেকর্ড। ১৪ জুলাই(বুধবার) ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার তিন জন। চট্টগ্রামে যা একদিনের হিসেবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন। শনাক্তের হার ৩৪.৯৫ শতাংশ। চট্টগ্রামের ১১টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ২ হাজার ৮৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৪ জুলাই(বুধবার) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৭ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৫১ হাজার ৯৪৯ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৫ হাজার ৮৩৮ জন রয়েছেন। ১৪ জুলাই(বুধবার) চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন। মারা যাওয়া ৪ জন ছিল নগরের বাসিন্দা। বাকি ৬ জন নগরের বাইরের বাসিন্দা। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৮শ’ জন। এর মধ্যে ৫০৮ জন চট্টগ্রাম নগরের। বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২৯২ জন। ২৪ জুলাই শনিবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে কোভিড নাইনটিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজারের বেশি। মৃত্যুর সংখ্যা ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে । ২৫ জুলাই রবিবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ হাজার ৫২১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জন। সুস্থ্য হয়েছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। তাই সরকারের উচিৎ আইসোলেশন সেন্টার বৃদ্ধি করা। সরকারের মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক ১ জুলাই থেকে দুই ধাপে ১৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করার পর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত ছিল। এখনো আছে। কোরবান ঈদের আগে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে ঘোষণা দিয়েছিল ঈদের একদিন পর ২৩ জুলাই রাত ১২টার পর থেকে আবারো দুই সপ্তাহব্যাপী লকডাউন চলবে। এবারের লকডাউন হবে কঠোর লকডাউন। চলবে না সরকারি-বেসরকারি অফিস ও আদালত। চলবে না গার্মেন্টস, শিল্প-কলকারখানা। চলবে না গণপরিবহণসহ সকল যানবাহন। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চাইলেও মানুষতো গৃহবন্দি থাকতে চাইনা। তারা করোনার সংক্রমণকে ভয় না করে বিভিন্ন অজুহাতে ও বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হোটেল-রেঁস্তোরাসহ অন্যান্য প্রতিষ্টান খোলা রাখছেন। সাঁড়াশি যৌথ অভিযানে ধনির দুলালরা রেহায় পেলেও রেহায় পাচ্ছে না হতদরিদ্র মানুষ।
মানুষ জড়ো হওয়ার কারণে করোনার সংক্রমণ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। মানুষকে সচেতন করার জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউনের শুরুতেই ৬টি গাড়িতে মাইক বসিয়ে নগরীর অলি-গলিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম চলছে। করোনা প্রতিরোধে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে জানান দেয়া হচ্ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হলেই পথচারীকেও জরিমানা করা হচ্ছে। লকডাউনের শরু থেকেই জেলা প্রশাসনের ১৪ জন ও বিআরটিএ’র ২ জনসহ মোট ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নগরীতে শুরু হয়েছে যৌথ সাড়াঁশী অভিযান। সাথে আছে সেনাবাহিনী। তারা আবার তাদের মতো করে টহলেও থাকবেন। ৫ আগস্ট পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকারি আদেশ অমান্য করে হোটেল-রেঁস্তোরাসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্টান খোলা রাখলে জরিমানা ও ডাবল জরিমানার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান সীলগালাও করে দেয়া হচ্ছে। সড়কে ভাড়ায় চালিত যানবাহনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবুও লকডাউন নিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দীর্ঘশ্বাস রয়েছে। যদিও প্রশাসন বলছে সকলে মিলে একসাথে কাজ করলে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে সমস্যা নেই। অথচ সাধারণ মানুষ লকডাউন সমর্থন করছে না।
এবার আসি সরকারি ত্রাণ প্রসঙ্গে, মহামারি করোনাতে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই সরকার তার ত্রাণ তহবিল এবং দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে অসহায় হতদরিদ্র, নিম্নবিত্ত পরিবারের মাঝে কয়েক দফা ত্রাণ দিয়েছে। অথচ, সে ত্রাণ গরিবরা পাইনি। ত্রাণ নিয়ে সরকারি জনপ্রতিনিধিরা করেছে হরিলুট। আর ২০২১ সালে এসে দেখছি-এবারের কঠোর লকডাউনেও জনপ্রতিনিধি কর্তৃক সরকারি ত্রাণের নাম গন্ধও নেই। শুধু দেশের জেলা প্রশাসন কর্তৃক ৩৩৩ নম্বরে যাদের খাদ্য সংকট রয়েছে তাদেরকে ফোন দিতে বলেছে। ফোন দিলে ওই খাবার নাকি পৌঁছে যাবে তাদের কাছে। এতে কি অসহায়, খেটে খাওয়া দিন মজুরের খাদ্য সংকট ঘুচে যাবে না। কারণ তাদের অধিকাংশই জরুরি খাদ্যও জন্য ৩৩৩ নম্বরে ফোন করার সামর্থ নেই। তাছাড়া এসব মানুষ ফোন দেয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট নয়। অভিযোগ রয়েছে গত বছর সরকার গরিব, অসহায় হতদরিদ্রের মাঝে যে ত্রাণ বরাদ্দ করেছিল-সে ত্রাণ শহরে ও গ্রামে জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান এবং মেম্বাররা হরিলুটে ব্যস্ত ছিল। এতে গরিবরা তাদের প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে ধনীরা গরিবদের শোষণ করে যাচ্ছে। কিন্তু গরিবরা প্রতিবাদ করতে পারছে না। প্রতিবাদ করার শক্তি তাদের নেই। মানবতা বিপর্যয় হচ্ছে। করোনাকালীন ২০২০ সালের এপ্রিল মাস জুড়েই ইলেকট্রিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় ছিল ত্রাণ হরিলুটের সংবাদ। জনপ্রতিনিধিদের ত্রাণ হরিলুটের সংবাদ বেশি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সরকারি ত্রাণ লুট নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় আওয়ামীলীগের স্ট্যাটাস ও প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে জনপ্রতিনিধিরা। আমাদের দেশের জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় এবং লোভ নিয়ে খোদ সরকারও বিপাকে আছেন। শুধু কি তাই-সরকারি ত্রাণ দেয়ার সময় জনপ্রতিনিধিরা কে কোন দল করেন তা দেখে দেখে দিয়েছেন। কারো কারো কাছ থেকে এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে মুখ দেখে দেখে সরকারি ত্রাণ দেয়া হয়েছে। অনেকেই আবার বলছেন যাদের ঘরে খাদ্য আছে তাদেরকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। এমনকি ত্রাণ দেয়া হয়েছে সুবিধাবাদি নেতাদের আত্মীয়-স্বজনদের। ত্রাণ বিতরণে জনপ্রতিনিধিদের অনিয়ম নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) ছিল নীরব। এ নিয়ে দুদকের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। একই অভিযোগ মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে দেয়া জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে বিকাশে বিতরণের এই টাকা কিন্তু অসহায় হতদরিদ্ররা পাইনি। এ টাকা পেয়েছে দলের নেতা-কর্মীরা। সামাজিক বৈষম্য নিরসনে সরকারি যে কোনো ত্রাণ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে দিয়ে বিতরণ শ্রেয়। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সরকারি যে কোনো ত্রাণ ও সুযোগ-সুবিধা দেয়া হলে গরিব অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষেরা নিশ্চিত পাবে। এতে দুর্নীতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ অতিমারির সময়ে কে এলাকার ভোটার কে ভোটার না সে তালিকা খোঁজা আপাতত বাদ দিন। তাই ভোটার তালিকা না খুঁজে জনগণ যে যেখানে আছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সরকারি সহায়তা পৌছালে মানুষ নিশ্চিত ঘরে বসে থাকবে। আর এতেই করোনা নিয়ন্ত্রণ হবে শতভাগ।
সাধারণ মানুষ আশায় বুক বাঁধছে আর প্রতীক্ষায় রয়েছে সরকার কখন দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক ঘোষণা করবে। এজন্য স্রষ্টার কাছে প্রার্থনার কোনো কমতি নেই তাদের। সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রভাবে এখনো অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজমান। ব্যবসা-বাণিজ্য এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। এ অর্থনৈতিক মন্দা কাটাতে আর কতদিন লাগবে তারও হিসাব মিলাতে পারছে না অর্থনীতিবিদরা। সারাবিশ্বে বেকারত্ব যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে দারিদ্রতা। এর ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশেও। কোভিড উনিশে আক্রান্ত প্রতিটি দেশ করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসলে অর্থনীতিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাইবে। করোনার ধকল কাটিয়ে উঠা ক্ষতিগ্রস্ত এসব দেশের সরকার প্রধানরা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটুকু সফল হবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। হয়তো তারা প্রণোদনা দিবে ব্যবসায়ী ও নাগরিকদের। বিশ্বব্যাপী ক্ষেপে যাওয়া হিংস্র এ করোনাভাইরাস সমগ্র মানবজাতির রুটি-রুজিতে আঘাত হেনেছে। ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে করোনার সময়কাল দেড় বছর পেরুলেও এখনো বৈশি^ক অর্থনীতি ভঙ্গুর। এ আঘাতের ক্ষতিপূরণ কেটে উঠতে কতদিন সময় লাগবে, তা বলা মুশকিল। প্রবাসেও বাঙালিরা কর্মহীন থাকায় বেকারত্ব বাড়ছে। প্রবাসীরা কোভিড-১৯ নিয়ে এখনো উদ্বিগ্ন রয়েছে। ফলে দেশে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স কম আসছে। তাছাড়া কোভিডের কারণে বিদেশের শ্রম বাজার অনেকটা বন্ধ রয়েছে বলা যায়। করোনা শুধু যে বৈশি^ক অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা নয়। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও খাদ্যে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে পর্যটন, খেলাধুলায়, শিল্প ও সংস্কৃতিতে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়েছে গণমাধ্যম ও রাজনীতিতে। দেশে করোনাকালের প্রথম ঢেউয়ে সবকিছুই খোলা থাকলেও স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা রোবট এবং ভার্চুয়ালমুখি হয়ে যাচ্ছে। এ করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পর্যটন ব্যবসার চিত্র আরও ভয়াবহ। প্রায় দেড় বছর দেশের পর্যটন খাত বন্ধ রয়েছে। অপার সম্ভাবনার পর্যটন শিল্প এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এতেই শেষ নয়-দেশের আরেক সম্ভাবনাময় রেস্টুরেন্ট শিল্প একেবারেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। করোনার এ ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারি প্রণোদনা দরকার ব্যবসায়ীদের। সরকারের উচিৎ রাষ্ট্রের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্যও প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী করোনায় বিশ্বব্যাপী যে লকডাউন প্রথা চালু হয়েছে সেটাই এখন পৃথিবীর মানুষের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লকডাউনের বিরুদ্ধে জাপানের যে বিজ্ঞানী অভিমত প্রকাশ করেছিল সেটাই সঠিক বলে প্রমাণিত হচ্ছে। করোনার থাবায় বিপর্যস্ত দেশগুলো অনেক আগেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে আমাদের দেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে। আর এ পিছিয়ে থাকার কারণও রয়েছে-ঘরোয়া অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং টিকা নিয়ে বৈশ্বিক রাজনীতি। করোনার টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা এগিয়ে রয়েছে; তারাই আগে ঘুরে দাঁড়াবে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ডের এস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েও হয়েছে অনেক নাটক ও রাজনীতি। দেশের প্রায় ৫০ লাখ মানুষ করোনার প্রথম ডোজ অক্সফোর্ডের এস্ট্রোজেনেকার টিকা দেয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে সামনে আসে নানা বাধা বিপত্তি আর নাটক। ফলে অনেকেই করোনার দ্বিতীয় ডোজ নির্ধারিত সময়ে দিতে পারেনি। দীর্ঘদিন টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কারণ করোনার টিকার ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ যে কোম্পানির দেয়া হবে, দ্বিতীয় ডোজও একই কোম্পানির হতে হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী এস্ট্রোজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কথা থাকলেও ভারত তা দেয়নি। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভারত চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে মামলাও করবে বলেছিল। টিকা নিয়ে ভারতের মন্তব্য ছিল তাদের দেশের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দুই লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। এ পর্যন্ত ভারতে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। তাই তারা এ দু:সময়ে টিকা দিতে পারবে না। তাছাড়া সাড়াজাগানো রাশিয়ার টিকা ‘স্পুতনিক-ভি’ এর কোনো খবর নেই। এ টিকা পেলে বাংলাদেশের টিকার সংকট অনেকটা মিটে যাবে। তবে, করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা এবং ভুটান ঈর্ষনীয় সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছে। যে চীনের উহান শহর থেকে করোনার উৎপত্তি হয়েছিল সেখানে করোনার একদম নিয়ন্ত্রণে। নেই বললেই চলে। আমাদের মত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দেশে ঘুরে দাঁড়ানোর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে আফসোস করতে হবে দীর্ঘকাল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের কেউ কেউ স্ট্যাটাস দিয়েছেন এমন-গর্জে উঠুক বাংলাদেশ। লকডাউন নয়-টিকা চাই। চলমান লকডাউন নামে গরীব দু:খী মানুষকে নিয়ে সাজানো নাটক আর তামাশা। বন্ধ করো, করতে হবে। গার্মেন্টস ও মিল কারখানা খোলা রেখে তামাশার লকডাউন বন্ধ করো, করতে হবে। মানি না মানব না। টিকার ব্যবস্থা না করে মানুষের মুখের ভাত কেড়ে নেয়া বন্ধ করো, করতে হবে। কেন এই বৈষম্যের লকডাউন? এসব তামাসার লকডাউনের অবসান চাই। খেটে খাওয়া মানুষকে দিন দিন সীমাহীন দুর্দিনে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকার এই জাতিকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন এমন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুকে নেটিজেনদের কেউ কেউ স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন-“কেন এই বৈষম্যের লকডাউন? এসব তামাশার লকডাউনের অবসান চাই। লকডাউন-লকডাউন বলে জনজীবন বেসামাল করে তোলার মানে বুঝতে পারছি না! কেউ কি বুঝতে পেরেছেন? সরকার কখনো বলছে সর্বাত্মক লকডাউন। কিছুই চলবে না, সব কিছু বন্ধ-এর কিছুক্ষণ পরেই সরকার আবার ঘোষণা বলছে মিল কারখানা চলবে, গার্মেন্টস চলবে, ধনীদের যানবাহন চলবে। শুধু সাধারণ জনগণ তথা খেটে খাওয়া মানুষদের নিয়ে এসব তামাশা করেন কেন? তা না করলে হয়না! করোনা আর লকডাউন কি শুধু গণপরিবহণ, শিক্ষা, আর নিরন্তর খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য? কেন এই বৈষম্যের লকডাউন? প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন নতুন মিথ্যা রেকর্ড তৈরি করে জনগণের সামনে প্রচার করছেন-কিন্তু কোনো হাসপাতালের ভিডিও কেন দেখাচ্ছেন না? তার মানে বুঝলাম না! সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে তাদেরকে শহর থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছেন, শুধু কি আপনারা সুখে থাকার জন্য? সব টিভি চ্যানেলে একই রকম সংবাদ কেন ? সব টিভি চ্যানেলে সরকার থেকে নির্দেশিত সংবাদের বাইরে কোনো কিছু জনগণ দেখতে পাই না কেন ? হলুদ মিডিয়া, সরকারে পা চাটা মিডয়া, দালাল মিডিয়া, ভুয়া সংবাদ আর কত দেখাবেন? করোনা কি শুধু মিডিয়ায়? বাস্তবে বাংলাদেশের কোথাও এত উচ্চ হারে করোনা সংক্রমণ নেই। এটা লকডাউন নয়, ক্ষমতা চলে যাওয়ার ভয়ে মিডিয়া আর প্রশাসনকে পুঁজি করে জনগণকে ঘরে বন্দি রাখার নতুন কৌশল মাত্র। যেটা সরকার এখন রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করছেন। আর কত দিন এভাবে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন? জনগণের পেটে লাথি দিয়ে রুটি-রুজির ওপর আঘাত করে লকডাউন নামের প্রহসন আর কত দেখাবেন? এমন আক্ষেপ প্রকাশ করে সরকারের কাছে নানা প্রশ্ন রেখেছেন।
আবার কেউ কেউ সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী চলমান লকডাউনকে তথাকথিত লকডাউন বলছে। তাদের মতে এ লকডাউন একধরনের সরকারি দলের চলমান হরতালে পরিণত হয়েছে। ৫ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত চলমান লকডাউনে বিবর্ণ কষ্টের কথা বলেছেন সহজভাবে। ওই সময়ের চরম জনভোগান্তির কথা বলে শেষ করা যাবে না। অফিস, গার্মেন্টস,শিল্প-কলকারখানা সবকিছু খোলা ছিলো-কিন্তু রাস্তায় শুধু গরিবের গাড়ি চলেনি। গরিব অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষের উপর সরকারি দল, দালাল মিডিয়া, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহীনিকে দিয়ে গরিব জনতাকে টর্চারের কোনো মানে হয়না। সরকার দালাল মিডিয়া আর পা চাটা প্রশাসনকে হাতে নিয়ে ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরির মাধ্যমে সুকৌশলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও টিকাপ্রদান বন্ধ রাখতে অভিনব যত কৌশল অবলম্বন করছেন-এমন আক্ষেপ প্রকাশ করছেন ক্ষুদ্ধ জনতা। তারা দেশ ও জাতি ধ্বংস করার নীল নকশা'র বিরুদ্ধে-বাংলাদেশকে জেগে উঠারও কথা বলছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, করোনার টিকা নিয়ে তামাশা, আর লকডাউন নিয়ে নাটক-বন্ধ করুন, করতে হবে। থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে, দেখবো এবার জগতটারে। আসতে হবে বাইরে সবার, জানতে হবে আসল কারণ। এমনও প্রতিবাদি স্লোগান দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের কেউ কেউ সরকারকে দেশের মধ্যবিত্ত পরিবার ও খেটে খাওয়া গরীব-দুঃখী ও মেহনতী মানুষদের অর্থকষ্টের কথা বিবেচনা করতে বলেছেন। তারা আর লকডাউন চান না- লকডাউনের বিকল্প খুঁজতে বলেছে সরকারকে। শুধু তাই নয়-তারা লকডাউন না দিয়ে এর বিকল্প পথ তৈরির জন্য সরকারের দায়িত্বশীল মহলের প্রতিও সবিনয়ে অনুরোধ জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের কেউ কেউ মানুষের ওপর “লকডাউন" নামক মহা যন্ত্রণাদায়ক কষ্ট আর চাপিয়ে না দিয়ে যে সমস্ত পণ্য ব্যবহারের কারণে মানুষের শ্বাসকষ্ট বেড়ে গিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে পরিস্থিতি দিনের পর দিন নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, সে সকল ক্ষতিকারক পণ্য চিহ্নিত করে পণ্যগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দোকান থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছে। শুধু কি তাই! লকডাউনের বিকল্প হিসেবে তারা করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সকল প্রকারের ধুমপান জাতীয় বিড়ি, সিগারেট, মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ করতে বলেছেন। ঠান্ডা পানীয়, কোল্ড ড্রিঙ্কস, এনার্জি ড্রিঙ্কস, ফ্যাট জাতীয় খাবার, ক্যামিকেল মিশ্রিত খাবার অর্থাৎ সর্দি, কাশি, জ্বর, হৃদরোগ, কিডনী রোগ, লিভারের রোগ ও শ্বাসকষ্ট হয় এমন সকল পণ্য নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতিজোর দাবী জানিয়েছে। তাছাড়া সরকারকে লকডাউনের মেয়াদ আর না বাড়িয়ে জোরেসোরে মানুষকে শুধু ডাল-ভাত ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার আবার কেউ কেউ বলেছেন সরকারি টাকা লাগবেনা-করোনার জন্য বিদেশী অনুদান গুলো যদি সবার মাঝে সঠিকভাবে বন্টন হয় তাতেই মানুষ সন্তুষ্ট থাকবে। যদি এ নিয়ম বাস্তবায়ন করা যায় মানুষ রাস্তায় নামবেনা। করোনাও নিয়ন্ত্রণ হবে শতভাগ।
সারাবিশ্বের মানুষ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে উদ্বিগ্ন ও অস্বস্থিতে ছিল। কখন আসছে এ ভ্যাকসিন বাজারে। সকলেরই একই ধারণা ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত এ মহামারি ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমবে না। যাই হোক, সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২০ সালের শেষ দিকে বিশ্বের বেশকটি কোম্পানি এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসে। সকল সংশয়-সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এরপর টিকার বিষয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে তা ভুল প্রমাণিত করে ৭ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশব্যাপী গণটিকা দান কর্মসূচি শুরু হলে পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যায়। যুক্তরাজ্যেও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানিদের আবিস্কৃত এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এই টিকা নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ অপরাজনীতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্তিতে ফেলে টিকা নিতে অনুৎসাহিতও করেছে। যাই হোক, আমাদের সবাইকে করোনাভাইরাস কে সাথে নিয়ে পথ চলার অভ্যাস করতে হবে। কারণ এটা দীর্ঘস্থায়ী বিষয়। তাই সবসময় লকডাউনে ঘরে বন্দি হয়ে থাকা যাবে না। সরকারও সবসময় লকডাউন দিয়ে জনগণকে ঘরে বন্দি রাখতে পারে না। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা জরুরি। সাধারণ মানুষ বলছে লকডাউন নয় মাস্কেই হোক ভরসা। আর নয় লকডাউন। এবার সরকার লকডাউনের বিকল্প কিছু ভাবুক।
-লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্রা...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak