আজ  মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪


ফিল্ড হাসপাতাল

  আফছার উদ্দিন লিটন:   |   আপডেট: ০৭:২২ এএম, ২০২১-০৮-১১    588

 

ফিল্ড হাসপাতাল ফিল্ড হাসপাতাল

দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে; সেই সঙ্গে বাড়ছে শঙ্কা। করোনার নতুন নতুন স্ট্রেইন আসাতে এ সমস্যা হয়েছে। যে কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারত ও ব্রাজিলকে লন্ডভন্ড করে  দিচ্ছে। এ দুটি দেশে মৃত্যুর  হার ও আক্রান্তের হার আগের চেয়ে অনেক কমেছে। ২৯ জুলাই পর্যন্ত ভারতে ২৪ ঘন্টায় করোনায় সংক্রমণের হার ছিল ২.৫২ শতাংশ। মৃত্যুর  হার ছিল ১.৩৪ শতাংশ। শুধু তাই নয়। ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার ডেল্টা এখন পর্যন্ত ১৩২টি দেশে ছড়িয়েছে। করোনায় দেশে এখন রোগী শনাক্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। মাস্ক  না পড়া, সামাজিক দুরত্ব মেনে না চলা। রাজনৈতিক জনসমাবেশ এড়িয়ে না চলা। দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া মানুষের ভিড় এবং ঘন ঘন হাত না ধোয়া ইত্যাদি কারণে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের মাঝে আঘাত হেনেছে। সরকার করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। সরকার তার সেবার পরিধি বাড়াচ্ছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ঢাকার বাইরে আইসিইউ বেড স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশে জনসংখ্যার অনুপাতে আইসিইউ বেডের সংখ্যা প্রতিবেশী দেশ ভারত কিংবা পাকিস্তান, এমনকি নেপালের চেয়েও অনেক কম। বাংলাদেশে প্রতি এক লাখ লোকের জন্য রয়েছে শূন্য দশমিক সাতটি বেড, যেখানে ভারতে এই সংখ্যা দুই দশমিক তিন। আর উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে হতাশা শুধুই বাড়বে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে দেখা যায়, জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশের আইসিইউ বেডের সংখ্যা ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা বা মিয়ানমারের চেয়ে কম। ৩০ জুলাই শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় সারাবিশ্বে আক্রান্ত হয়েছে  ১৯ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৪৯ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ৪২ লাখ ২০ হাজার ৩৪৭ জন। বাংলাদেশে ৩০ জুলাই শুক্রবার শুধু একদিনে আক্রান্ত হয়েছে  ১৩ হাজার  ৮৬২ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ২১২ জন। আক্রান্তের দিক দিয়ে শনাক্তের হার ৩০.৭৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত দেশে আক্রান্ত হয়েছে ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ২০ হাজার ৪৬৭ জন।
বিদ্যুৎ বড়ুয়া। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের উদ্যোক্তা। বর্তমানে তিনি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে উচ্চতর ডিগ্রি ও চাকরির সুবাদে সুইডেন ও ডেনমার্কে ছিলেন ১০ বছর। বর্তমানে তিনি আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল  ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়ার ছোট ভাই।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে ৬০ শয্যার আইসোলেশনসহ ফিল্ড হাসপাতাল করেছিল শিল্প প্রতিষ্ঠান নাভানা গ্রুপ। আর এ ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেন চট্টগ্রামের ডাক্তার বিদুৎ বড়ুয়া ও নাভানা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম। গত বছরের ২১ এপ্রিল হাসপাতালটি পুরোপুরি প্রস্তুত করে চালু করা হয়। মাত্র ২৩ দিনের মাথায় এ ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। হাসপাতালের জন্য যে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে সেটি চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা করার একমাত্র ল্যাব বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এর কাছাকাছি হওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করেছিলেন উদ্যেক্তারা। গত বছরের ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিনে সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় নাভানা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শনও করেছেন।  ওই সময় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।  ফৌজদারহাটে অবস্থিত প্রায় ১২ হাজার বর্গফুটের দোতলা ভবনটি দেখে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ওই  জায়গাটি চট্টগ্রামের করোনাভাইরাস পরীক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিআইটিআইডি’র পাশে হওয়ায় অনেক সুবিধা পাওয়া যাবে বলেও তারা মন্তব্য করেছিলেন। এ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিন। এছাড়া এ ফিল্ড হাসপাতাল দেখতে গেছেন চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার, জেলা সিভিল সার্জনসহ আরও অনেকে। আধুনিক সুবিধার ব্যবস্থা রাখায় সবাই সেেন্তাষ প্রকাশ করেন।  
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিলের প্রথম দিকে চট্টগ্রামে অস্থায়ী ভিত্তিতে একটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নিজের ফেসবুকে আহ্বান জানান ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। এতে নিজের একটি কারখানার ভবন দিয়ে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করে নাভানা গ্রুপ। গত বছরের ২৯ মার্চ রোববার প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব দেন নাভানা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম। এ নিয়ে সেসময় ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তাই আমাদের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়ে রাখা। পাবলিক হেলথ নিয়ে কাজ করার সুবাদে এ বিষয়ে কিছু পরিকল্পনা তিনি তাঁর ডাক্তার সহকর্মীদের জানাই। তারাও তাঁর সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু হাসপাতালটি কোথায় করা যায় সে বিষয়টি নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় ছিল। পরবর্তীতে নাভানা গ্রুপ এগিয়ে আসার কারণে বিষয়টি সহজ হয়েছে।
নাভানা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আরফাদুর রহমানও চেয়েছেন দেশের এ দুর্যোগ মুহূর্তে তারা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে। করোনার প্রথম দিকে তারা ঢাকার দিকেই একটি ফিল্ড হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করলেও পরবর্তীতে চট্টগ্রামকে বেছে নেয়। যুদ্ধের সময়ে সীমিত সামর্থ্য দিয়ে তৈরি হাসপাতালকে 'ফিল্ড হাসপাতাল' বলা হয়। করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার এই ক্রান্তিলগ্নে এটিকে ফিল্ড হাসপাতাল নামকরণ করা হয়েছে। দেশে বেসরকারি উদ্যোগে এটি প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল ছিল। নাভানা গ্রুপের সহযোগিতায় নীরবে হাসপাতালটি তৈরি করা হয় চট্টগ্রামে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক লাগোয়া চট্টগ্রাম সিটি গেটের অদূরে নাভানা গ্রুপের মোটরসাইকেল ইউনিটের দ্বিতল ভবনটিতে ফিল্ড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
কিন্তু দু:খের বিষয় চারমাস দশ দিন পর ৩১ আগস্ট সোমবার করোনায় দেশে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে স্থাপিত প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যায়। অবশ্য বন্ধ হওয়ার কারণও রয়েছে। অনুদান কমে যাওয়া ও রোগী না থাকায় সেদিন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি ওই সময় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালককে অবহিতও করা হয়েছে। ফিল্ড হাসপাতালে সরকারিভাবে দেয়া চারজন চিকিৎসককে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। চালু থাকা অবস্থায় ৪ মাস ১০ দিনে ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ৩৫ জন নিয়মিত সেবা প্রদান করেছেন। এ সময় ২৫০ কোভিড রোগীকে সেবা দেয়া হয়। এর মধ্যে চারজন মারা যান। চট্টগ্রামের ফিল্ড হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসকসহ ৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাস রোগীদের পালাক্রমে সেবা দিয়েছেন। রোগী পরিবহণের জন্য একটি এম্বুলেন্স ও একটি মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা ছিল। হাসপাতালটির শয্যাসংখ্যা ছিল ৬০, যার মধ্যে মুমূর্ষু রোগীদের জন্য ছিল ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট। রোগীদের আইসোলেশনে রাখার জন্য ছিল আলাদা শয্যা। ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ আরো বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সংস্থা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহায়তা দেয়ার উদ্যোগও নেয়া হয়েছিলÑতবুও থেমে যায় এর কার্যক্রম। যদি গত বছর সরকার থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যেতো, তাহলে হয়তো এ হাসপাতাল  অল্পদিনে বন্ধ হতো না। তবে ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার ভবিষ্যতে একটি পূর্ণাঙ্গ বেসরকারি হাসপাতাল করার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
২০২০ সালের ৭ জুলাই মঙ্গলবার। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে গড়ে ওঠে আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ফিল্ড হাসপাতাল ‘আল-মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল। সেদিন এই ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। এতে সার্বিক সহযোগিতাও করেছে নগর পুলিশ। হাসপাতালটি উদ্বোধন করে চট্টগ্রামের জনসাধারণের চিকিৎসা সেবায় ও করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন সিএমপি কমিশনার।
হাসপাতালটির শয্যা সংখ্যা ৭০। রয়েছে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় মহামূল্যবান কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা। হাসপাতালটিতে ১০টি আইসিইউ শয্যাসহ ৭০ শয্যার প্রতিটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ও তিনটি ভেন্টিলেটর ছিল। গত বছরের জুন মাসের মাঝামাঝি নগরীর হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে ৭০ শয্যার ‘আল-মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল’র প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়।আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে তারা জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কিংবা উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিদের দাফন-দাহ করে আসছে। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত বা উপসর্গ থাকা ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে অন্যরা যখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল, তখন তারা নিজেদের এম্বুলেন্সে হাসপাতালে পৌঁছে দিচ্ছিল রোগীদের। হাসপাতালে পৌঁছে দিতে গিয়ে তারা দেখতে পান-কোনো কোনো হাসপাতাল রোগীদের ভর্তি করাচ্ছে না। কোথাও চিকিৎসার মাঝপথে রোগীদের বের করে দেয়া হচ্ছিল। আবার কোথাও গিয়ে দেখতে পান, হাসপাতালে ধারণক্ষমতার বেশি রোগী। ফলে রোগী নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হয়েছে অনেক সময় তাদের। অনেকে মারা গেছে রাস্তায়ই। সেই অভিজ্ঞতা থেকে তারা নিজেরাই একটি হাসপাতাল গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজারে নাসরিন বাকি নামের এক দানশীল নারী দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের চিকিৎসাসেবা দিতে পাঁচতলা ভবনটি নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর কর্মব্যস্ততার কারণে সময় দিতে না পেরে তিনি ২০১৯ সালে সেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সেটি আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনকে হস্তান্তর করেন। এখন সেই ভবনটিতে গড়ে তোলা হয়েছে আল-মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল। করোনা শেষ হলে হাসপাতালটিতে প্রসূতি মায়েদের সেবা দেয়া হবে। পাশাপাশি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্যও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা হবে। পাঁচতলা ভবনের পুরোটাই করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে পঞ্চম তলায় পুরুষ রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চারতলায় থাকছে আইসিইউ। তৃতীয় তলায় কেবিনের ব্যবস্থা। এ ছাড়া দ্বিতীয় তলায় নারী-পুরুষের জন্য আলাদাভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। নিচতলায় রয়েছে ইমার্জেন্সি ওয়ার্ড। আইসিইউ ব্যবস্থার পাশাপাশি রাখা হয়েছে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম। স্বেচ্ছাসেবী আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মহামারির প্রথম থেকেই জনগণের পাশে থেকে মানবিক কাজ করছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিকিৎসাসেবা আরও বেগবান করার জন্য এ উদ্যোগ, যা নিঃসন্দেহে জনগণকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ ধরনের উদ্যোগ মানুষকে শুধু চিকিৎসা সেবাই দেবে না, বরং আরও মানবিক হতে উদ্বুদ্ধ করবে।
ইউরোপে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত লেগেছে ইতালিতে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে  ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৯জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৭ জন। সেখানকার ডাক্তাররা পরিস্থিতিকে যুদ্ধের সাথে তুলনা করছেন। ইতালির করোনাভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার পর এক পর্যায়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলেও সবাইকে চিকিৎসা দিতে পারেনি দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতালিতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসকরা বলেছেন, এত রোগীর ভিড় যে কাদের তারা বাঁচানোর চেষ্টা করবেন এবং কাদের ফেলে রাখবেন তা তাদেরকে বেছে নিতে হচ্ছে। কারণ সব রোগীর জন্য সেখানে পর্যাপ্ত নিবিড় পরিচর্যার বিছানা নেই। ইতালিতে ৫ হাজার ২০০ নিবিড় পরিচর্যা শয্যা থাকার পরেও সেখানে সব রোগীকে জায়গা দেয়া যায়নি। লোম্বার্ডির ক্রেমাতে সেনাবাহিনী গত বছর তাঁবু খাটিয়ে বহু লোকের চিকিৎসা করেছে। তাদের সাহায্য করার জন্য কিউবা থেকে ৫২ জন ডাক্তার আনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ইতালির ক্রেমার কিছু ফিল্ড হাসপাতাল যেখানে স্বাস্থ্য কর্মীরা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছিল। একই অবস্থা হয়েছিল স্পেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, জার্মানি, ফ্রান্স ও রাশিয়ার ক্ষেত্রেও।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু এবং আক্রান্তের হার কমানোর জন্য নানা দেশে অস্থায়ি ফিল্ড হাসপাতালে চলছে জীবন রক্ষার লড়াই। সেদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর করোনাভাইরাসের চাপ মোকাবেলার লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশ 'ফিল্ড' বা অস্থায়ি হাসপাতাল তৈরি করে সেখানে হাজার হাজার রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার ও রোগীদের সাহায্য করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এমনকি এয়ারলাইন্সের অবসর-ভোগী কর্মীদেরও কাজে লাগানো হচ্ছে। কনফারেন্স হল, স্টেডিয়াম এবং মেলার মাঠগুলোকে রূপান্তর করা হচ্ছে অস্থায়ি হাসপাতাল হিসেবে। ব্রিটেনের লন্ডনে এক্সেল কনফারেন্স সেন্টারকে ৫শ’ শয্যার হাসপাতালে পরিণত করা হয়েছে। এই হাসপাতালে ভবিষ্যতে ৪ হাজার রোগীর সেবা দেয়া হবে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চাহিদা মেটাতে এনএইচএস নাইটিংগেল হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৫৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৭৪ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৮৩ জন।
স্পেনে কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত স্পেনে আক্রান্ত হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ৮১ হাজার ৪৮৬জন। সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত করা হয়েছে রাজধানী মাদ্রিদে। সেখানে ডাক্তাররা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি একজিবিশন সেন্টারকে হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। ২০২০ সালের করোনা মহামারির শুরু থেকেই মাদ্রিদের ইফেমা একজিবিশিন সেন্টারের হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮৪ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৭৮১ জন। আর বলা হচ্ছে এই রোগের এপিসেন্টার বা কেন্দ্রস্থল হচ্ছে নিউইয়র্ক সিটি। নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কে একটি অস্থায়ি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছিল ওই শহরের একটি বড় হাসপাতালের পাশেও তৈরি হয়েছিল মর্গ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি মেলার মাঠে ২৫০ বেডের হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। ফোর্ট লডারডেল বিমানবন্দরের পাশে এক জায়গায় আরেকটি হাসপাতাল এখন নির্মাণাধীন। যুক্তরাষ্ট্রে বহু লোকের সমাবেশ বাতিল হওয়ার পর মার্চ থেকে মায়ামি-ডেডে কাউন্টি ফেয়ার বন্ধ রাখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের করোনা বিশেষজ্ঞরা ফ্লোরিডায় করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যায় বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা করেছিলÑতা সত্যি হয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনী হসপিটাল শিপ কমফোর্ট নিউইয়র্কসহ বড় বড়  শহরের জাহাজঘাটায় নোঙর করে ওই শহরের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। ভার্জিনিয়ার নরফোক নৌঘাঁটি থেকে ১ হাজার শয্যার ভাসমান হাসপাতালটি সেদেশে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ব্রাজিলে  ৩০ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে  ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬৯ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬২৬জন। ব্রাজিলের ক্লাবগুলো বিশ্বকাপ ফুটবলের সাবেক ভেন্যুগুলোকে হাসপাতালে পরিণত করেছে। গত বছর সাও পাওলোর পাসায়েম্বু স্টেডিয়াম এবং কনসার্ট ভেন্যুকে ২০০ শয্যার অস্থায়ি হাসপাতালে রূপান্তর করেছিল সেদেশের সরকার। এই স্টেডিয়ামে পল ম্যাককার্টনি এবং রোলিং স্টোনসের মত তারকারা একসময় গানের কনসার্ট করেছে।
ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিকে আরো হৃদয়বিদারক করে তুলেছে অক্সিজেনের তীব্র সংকট। এপ্রিল থেকে পুরো মে মাস জুড়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে টানা রেকর্ড তৈরি হয়েছিল সেখানে। এক দিনে শনাক্ত হয়েছে রেকর্ড চার লাখেরও বেশি রোগী। ৩০ জুলাই পর্যন্ত ভারতে আক্রান্ত হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ জন। আর মৃত্যুবরণ করেছে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৪২ জন। অক্সিজেনের অভাবে সেখানে মারা যাওয়া বেশির ভাগ রোগীই করোনা আক্রান্ত ছিল। প্রত্যেকেই অক্সিজেনের চাপ কমে যাওয়ার কারণে মারা যায়। সে সময় হাসপাতালের অক্সিজেনের জরুরি মজুদ শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে ভারতে করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই হাসপাতালে বর্তমানে থাকা রোগীর মধ্যে অক্সিজেন সাপোর্ট ও আইসিইউর সমস্যা নেই বললেই চলে। এপ্রিল মাসে করোনার সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারতে যখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছিল তখন হাসপাতালগুলোতে লাশ আর লাশের মিছিল। ভারতের অধিকাংশ প্রদেশের চিতাগুলোতে এতো লাশ আসতে থাকে সেখানে দাহ করানোর জায়গা পর্যন্ত ছিলনা। লাশ দাহ করতে হয়েছে রাস্তায়, ফুটপাতে। লাশ দাহ করতে হয়েছে ডাস্টবিনের জায়গায়। লাশ দাহ করতে হয়েছে লোকালয়ে। এমনকি লাশ দাহ করার জায়গা না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো গঙ্গা ব্রন্মপুত্র নদীতে লাশ ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছে। শুধু এ দুটি নদিতে নয় তারা আরও অনেক নদিতে লাশ ফেলেছে। সে লাশ আবার ভেসে এসেছে কোনো অজপাড়া গায়ের সমুদ্র কিংবা নদির কূলে। কি মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছে সারাবিশ্বের মানুষ। আর ওই সময় ভারতের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে তরল অক্সিজেনের মজুদ শেষ হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় গ্যাস পাইপলাইনের সঙ্গে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংযোগ করে দিলেও অক্সিজেনের চাপ কম থাকায় রোগীরা মারা যান। অক্সিজেনের মজুদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে করোনা রোগীর লাশের মিছিল হয়েছিল। ফলে জুন পর্যন্ত ভারতীয়দের জীবন ঝুঁকিতে ছিল।
ইরানেও করোনাভাইরাসের আঘাত মারাত্মক। রাজধানী তেহরানে একটি একজিবিশন সেন্টারকে ইরানি সেনাবাহিনী একটি ফিল্ড হাসপাতালে পরিণত করেছে-যেখানে একসাথে ২ হাজার রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। ফিলিস্তিনের গাজা ভূখন্ডের রাফায় অস্থায়ি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয় চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে। জাতিসংঘ আগেই হুঁশিয়ার করে বলেছে-ফিলিস্তিনী এলাকার দারিদ্র এবং দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে সেখানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ হবে বিপর্যয়কর।
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ধারাবাহিকভাবে রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় আইসিইউ শয্যার সংকটের পাশাপাশি সাধারণ শয্যার সংখ্যাও কমছে। চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৭ জন। মোট  শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৫১ হাজার ৯৪৯ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৫ হাজার ৮৩৮ জন রয়েছেন। ১৪ জুলাই(বুধবার)পর্যন্ত চট্টগ্রামে ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন। মারা যাওয়া ৪ জন ছিল নগরের বাসিন্দা। বাকি ৬ জন নগরের বাইরের বাসিন্দা। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৮শ’ জন। এর মধ্যে ৫০৮ জন চট্টগ্রাম নগরের। বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২৯২ জন। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এ কারণে আগামী দিনে চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভাবিয়ে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে আবারও ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতালগুলো নতুন করে স্থাপন এখন সময়ের দাবি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছর চট্টগ্রামে নগরীর সিটি গেট এলাকায় স্থাপিত ডা.বিদ্যুৎ বড়–য়ার ফিল্ড হাসপাতাল কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল। করোনায় বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে বেশি বেশি ও মানসম্মত হাসপাতালের গুরুত্ব বেড়েছে। আশা করা যায় চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার থেকে মানসম্মত চিকিৎসা পাওয়া যাবে। করোনা মহামারি ঠেকাতে চট্টগ্রামে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সরকার একা এই মহামারি সামাল দিতে পারবে না। দেশের আরও ধনাঢ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ রকম ফিল্ড হাসপাতাল বানিয়ে করোনা রোগীদের সেবা দিতে পারে। সংক্রমণের হার আগের চেয়ে কমেছে এমন ভাবার অবকাশ নেই। আবার এখনই স্বস্তি প্রকাশের কিছু নেই। যাঁরা হাসপাতালে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সংকটাপন্ন রোগী বেশি। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় ঝুঁকিও বাড়বে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ঝুঁকি কমবে।
-লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক
 

 

রিলেটেড নিউজ

স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কোথায়?

মো. রাশেদুল ইসলাম-রাশেদ স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কোথায়? মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ   তোমার দেয়া দেশটা শুধু আছে, নাম ভাঙিয়ে খা...বিস্তারিত


দিক হারা পথিক

আফছার উদ্দিন লিটন: দিক হারা পথিক আফছার উদ্দিন লিটন বেকারত্বের অভিশাপে তরুণদের মনে হাহাকার কে দেবে তাদের কর্মসংস্�...বিস্তারিত


জনতা ব্যাংক চাক্তাই শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চট্টলার ডাক ডেস্ক: জনতা ব্যাংক পিএলসি চাক্তাই শাখার উদ্যোগে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশত “ ৫০ দিনের বি...বিস্তারিত


নারী শুধু ঘর সামলায় না

মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী ‘নারী মাঠে যেতে পারে না’-এ কথা আমরা বলতে চায় না। তারা সব পারে; কিন্ত পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান �...বিস্তারিত


দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝে না কেউ

মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী (১) আমি শুধুশুধু অনর্থক যেই ভদ্রলোকটার  বিরুদ্ধে আক্রোশ বা ষড়যন্ত্র করি, পরবর্তীতে দেখা যায় তার অ�...বিস্তারিত


তরুণ প্রকাশকদের অংশগ্রহণে তিনদিনব্যাপী ‌‌প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চট্টলার ডাক ডেস্ক: তরুণ প্রকাশকদের অংশগ্রহণে তিনদিনব্যাপী ‌‌'সৃজনশীল প্রকাশনা খাত: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্�...বিস্তারিত