শিরোনাম
চট্টলার ডাক ডেস্ক: | আপডেট: ০৫:৪৮ পিএম, ২০২১-০৪-২৮ 527
করোনায় ভেন্টিলেটর কেন জরুরি
যেসব রোগীর শ্বাস-প্রশ^াসে সমস্যা হয়, গলাব্যথা, নিউনোমিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়, রোগীর জীবন যখন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে, তখন তার জন্য ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা জরুরি। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের রোগীর চিকিৎসায় চিকিৎসকরা ভেন্টিলেটর ব্যবহারের কথা বলছেন।
ভেন্টিলেটর কি : ভেন্টিলেটর এমন একটি যন্ত্র, যার মাধ্যমে চিকিৎসকরা কোভিড-১৯ বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে শ্বাস-প্রশ^াস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেন। ফুসফুসের কার্যকারিতা কমে গেলে, এই যন্ত্র সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বিশেষ এই অবস্থাকে অনেক ক্ষেত্রে লাইফ সাপোর্টে রাখাও বলে। ফুসফুস যখন শরীরে অক্সিজেন প্রবেশ ও বের করতে ব্যর্থ হয়, তখন ভেন্টিলেটর মেশিনের মাধ্যম কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।
ভেন্টিলেটর কিভাবে কাজ করে : ভেন্টিলেটর দু’ভাবে কাজ করে মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন এবং নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন। মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে একটি পাইপের মধ্যে টিউব যুক্ত করা থাকে, ওই পাইপটি রোগীর মুখে বা গলার কোনো অংশ দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। পরে ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে বাতাস রোগীর দেহে যেন প্রবেশ ও বের হতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে, নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রোগীর মুখে অথবা নাকে একটি মাস্ক সংযুক্ত করে শ্বাস-প্রশ^াস প্রক্রিয়া ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়।
ভেন্টিলেটরের উপকারিতা : রোগীর শ্বাস-প্রশ^াসের কষ্ট দূর করে, ফুসফুসের মাংসপেশিকে শিথিল করে। রোগীকে সেরে উঠতে সময় দেয়। শ্বাস-প্রশ^াস প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক হতে সহায়তা করে। রোগীর শরীরে নির্মল অক্সিজেন প্রবেশ করা ও কার্বন ডাইঅক্সাইড বের করতে ভূমিকা রাখে। রোগী যখন জটিল পরিস্থিতিতে থাকে, তখন তার শরীরে সার্বক্ষণিক বাতাস প্রবেশে সহায়তা করে।
ভেন্টিলেটরের অপকারিতা : ভেন্টিলেটরের মাস্কের ছোট্ট ফুটো থাকলেও তা দিয়ে রোগীর ড্রপলেটস বের হয়ে অন্যদের আক্রান্ত করতে পারে। টিউবের মাধ্যমে ফুসফুসে অন্য রোগ সংক্রমণ হতে পারে। অনেক সময় ভেন্টিলেটর ফুসফুসের ক্ষতির কারণও হতে পারে। ভেন্টিলেটর অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও ঘটাতে পারে।
ভেন্টিলেটর কাদের প্রয়োজন হয়:
কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অর্ধেকের বেশিই জ্বর, মাথাব্যথা, কফ এমন সাধারণ উপসর্গে ভোগেন। তাদের জন্য ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন নেই। তবে যাদের আগে থেকেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ফুসফুসের জটিলতাসহ জটিল রোগে ভুগছেন, তাদের জন্য ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হয়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সেরে ওঠেন। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গেছে, চীনে ১০৯৯ জন কোভিড-১৯ রোগীর মধ্যে মাত্র ৪১.৩ শতাংশ রোগীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেসব রোগী হাসপাতালে গড়ে ১২ দিন ছিলেন।
লিটন/ওশান
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্রা...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak