শিরোনাম
চট্টলার ডাক ডেস্ক: | আপডেট: ০১:৫০ এএম, ২০২১-০৪-১৫ 464
অভিষেক ধাম্মার। ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা ছেড়ে কৃষি কাজ করছেন। আর তাতেও সফল তিনি । এই ইঞ্জিনিয়ার কৃষিকাজ করে এখন ৪০ হাজার রুপি আয় করছেন।
সাধারণত চাষি বলতে যে ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা এরকম নয়। এ কৃষক টি-শার্ট, ট্রাউজার আর স্নিকার পরা। একারণে তাকে মোটেই চাষির আওতায় ফেলা যায় না। কিন্ত বাস্তবে তিনি চাষিই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পাওয়া চাকরি ছেড়ে চাষ করে তিনি কত আয় করছেন ৪০ হাজার রুপি।
ভারতের দিল্লির পাল্লা গ্রামে জন্ম অভিষেক ধাম্মার। তার বাবাও চাষি। পারিবারিক ২৫ একর জমিতে তিনি চাষ করতেন। কিন্তু অভিষেকের স্বপ্ন অন্য ছিল। ছোট থেকেই তিনি চাষবাসের বিরোধী ছিলেন।
২০১৪ সালে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। অভিষেকের বাড়িতে চাষবাসের চল রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাষ! একেবারেই পছন্দ ছিল না তার। তার কাছে চাষাবাদের অর্থ ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টার মাঠে রোদের মধ্যে পরিশ্রমের কাজ। এবং প্রচুর পরিশ্রমের বিনিময়ে যৎসামান্য কিছু অর্থ। কখনো তা আবার বিনিয়োগের থেকেও কম হতে পারে।
বাবার কৃষিকাজে কোনো সাহায্যই করবেন না, তা প্রথম থেকেই পরিবারকে ভালভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। নিজের চাকরি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সমস্ত পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন।
কী এমন ঘটল যে অভিষেক চাষাবাদে কৌতূহলী হয়ে পড়লেন? এবং একজন চাষি হয়ে গেলেন? এর সূত্রপাত ২০১৪ সালে, স্নাতক হওয়ার ঠিক পড়েই।
চিরকালই নিজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে ভীষণ সচেতন অভিষেক জিম শুরু করার পর ক্রমে বুঝতে শুরু করেন, সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পুষ্টির কতটা প্রয়োজন। তার ডায়েট কীভাবে স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করে দেন। খাবারে কীটনাশকের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক এড়ানোর জন্য প্রথমে একটা ছোট বাগান করেন।
যমুনা নদীর তীরে তাদের ছোট একটা জমি ছিল। ঠাকুরদা সেখামে মন্দির করে দিয়েছিলেন। নদীর তীরে হওয়ায় জমির উর্বরতাও খুব বেশি ছিল। নিজেদের চাষাবাদের বিশাল জমির দিকে না গিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এই জমিতেই নিজের জন্য জৈব চাষ করতে শুরু করে দেন। কারণ সঠিক প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা ছাড়া পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষে ভরসা পারছিলেন না তিনি।
এক বছর পর যে ফলন তিনি পেলেন, তার সঙ্গে স্বাদে, রঙে বাজারে বিক্রি হওয়া ফসলের বিস্তর ফারাক নিজের চোখেই দেখতে পেলেন। সঙ্গে জৈব চাষের অভিজ্ঞতাও হল। এরপর তিনি পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষ করা শুরু করলেন। বাড়িতে জৈব সার বানিয়ে ফসল ফলানো শুরু হল।
রোজ ১৫-২০ মিনিট মাত্র লাগে গাছে পানি দিতে তার। সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিকে ফসল ফলিয়ে যাচ্ছেন এই ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। জমিতে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টও লাগিয়েছেন। জমির সমস্ত বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করেন এবং সেই গ্যাসেই বাড়িতে রান্না হয়। ইঞ্জিনিয়ার থেকে চাষি হয়ে কতটা সুফল পেলেন?
স্বাস্থ্য আর অর্থ দুটোই এক সঙ্গে পেয়েছেন অভিষেক। প্রতিদিন এখন ৪০ হাজার রুপি উপার্জন তার। এতদিন যে পেশাকে এড়িয়ে চলতেন, এখন সেটাই তার কাছে গর্বের, জানাচ্ছেন অভিষেক।
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্রা...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak