আজ  বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪


কৃষি কাজে দিনে ৪০ হাজার রুপি আয় করছেন

  চট্টলার ডাক ডেস্ক:   |   আপডেট: ০১:৫০ এএম, ২০২১-০৪-১৫    425

 

কৃষি কাজে দিনে ৪০ হাজার রুপি আয় করছেন

অভিষেক ধাম্মার। ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা ছেড়ে কৃষি কাজ করছেন। আর তাতেও সফল  তিনি । এই ইঞ্জিনিয়ার কৃষিকাজ করে এখন ৪০ হাজার রুপি আয় করছেন।

 সাধারণত চাষি বলতে যে ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা এরকম নয়। এ কৃষক টি-শার্ট, ট্রাউজার আর স্নিকার পরা। একারণে তাকে মোটেই চাষির আওতায় ফেলা যায় না। কিন্ত বাস্তবে তিনি চাষিই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে পাওয়া চাকরি ছেড়ে চাষ করে তিনি কত আয় করছেন ৪০ হাজার  রুপি।

    
   ভারতের দিল্লির পাল্লা গ্রামে জন্ম অভিষেক ধাম্মার। তার বাবাও চাষি। পারিবারিক ২৫ একর জমিতে তিনি চাষ করতেন। কিন্তু অভিষেকের স্বপ্ন অন্য ছিল। ছোট থেকেই তিনি চাষবাসের বিরোধী ছিলেন।

    
    ২০১৪ সালে ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। অভিষেকের বাড়িতে চাষবাসের চল রয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে চাষ! একেবারেই পছন্দ ছিল না তার। তার কাছে চাষাবাদের অর্থ ছিল ঘণ্টার পর ঘণ্টার মাঠে রোদের মধ্যে পরিশ্রমের কাজ। এবং প্রচুর পরিশ্রমের বিনিময়ে যৎসামান্য কিছু অর্থ। কখনো তা আবার বিনিয়োগের থেকেও কম হতে পারে।

    
    বাবার কৃষিকাজে কোনো সাহায্যই করবেন না, তা প্রথম থেকেই পরিবারকে ভালভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিষেক। নিজের চাকরি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সমস্ত পরিকল্পনাও করে ফেলেছিলেন।

    
  কী এমন ঘটল যে অভিষেক চাষাবাদে কৌতূহলী হয়ে পড়লেন? এবং একজন চাষি হয়ে গেলেন? এর সূত্রপাত ২০১৪ সালে, স্নাতক হওয়ার ঠিক পড়েই।

    
    চিরকালই নিজের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে ভীষণ সচেতন অভিষেক জিম শুরু করার পর ক্রমে বুঝতে শুরু করেন, সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পুষ্টির কতটা প্রয়োজন। তার ডায়েট কীভাবে স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে, তা নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু করে দেন। খাবারে কীটনাশকের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক এড়ানোর জন্য প্রথমে একটা ছোট বাগান করেন।

    

    যমুনা নদীর তীরে তাদের ছোট একটা জমি ছিল। ঠাকুরদা সেখামে মন্দির করে দিয়েছিলেন। নদীর তীরে হওয়ায় জমির উর্বরতাও খুব বেশি ছিল। নিজেদের চাষাবাদের বিশাল জমির দিকে না গিয়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এই জমিতেই নিজের জন্য জৈব চাষ করতে শুরু করে দেন। কারণ সঠিক প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা ছাড়া পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষে ভরসা পারছিলেন না তিনি।

   
   এক বছর পর যে ফলন তিনি পেলেন, তার সঙ্গে স্বাদে, রঙে বাজারে বিক্রি হওয়া ফসলের বিস্তর ফারাক নিজের চোখেই দেখতে পেলেন। সঙ্গে জৈব চাষের অভিজ্ঞতাও হল। এরপর তিনি পারিবারিক ২৫ একর জমিতে জৈব চাষ করা শুরু করলেন। বাড়িতে জৈব সার বানিয়ে ফসল ফলানো শুরু হল।
    
    রোজ ১৫-২০ মিনিট মাত্র লাগে গাছে পানি দিতে তার। সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধতিকে ফসল ফলিয়ে যাচ্ছেন এই ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। জমিতে বায়োগ্যাস প্ল্যান্টও লাগিয়েছেন। জমির সমস্ত বর্জ্য দিয়ে বায়োগ্যাস তৈরি করেন এবং সেই গ্যাসেই বাড়িতে রান্না হয়। ইঞ্জিনিয়ার থেকে চাষি হয়ে কতটা সুফল পেলেন?

    
    স্বাস্থ্য আর অর্থ দুটোই এক সঙ্গে পেয়েছেন অভিষেক। প্রতিদিন এখন ৪০ হাজার রুপি উপার্জন তার। এতদিন যে পেশাকে এড়িয়ে চলতেন, এখন সেটাই তার কাছে গর্বের, জানাচ্ছেন অভিষেক।

 

 

রিলেটেড নিউজ

ডাহুক পাখি

চট্টলার ডাক ডেস্ক: গ্রাম বাংলার  এই পাখিটিকে মোটামুটি সবাই চিনে। গ্রামের এলাকায় পুরোনো পুকুর ও কচুরিপানায় জলাশয়ে এ...বিস্তারিত


আফছার উদ্দিন লিটনের এনআরজে কমপ্লেক্সের ভূমিদস্যু চক্র

আবু মুসা চৌধুরী আফছার উদ্দিন লিটনের এনআরজে কমপ্লেক্সের ভূমিদস্যু চক্র আবু মুসা চৌধুরী লিওন। এক স্বপ্নবান যু�...বিস্তারিত


স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কোথায়?

মো. রাশেদুল ইসলাম-রাশেদ স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কোথায়? মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ   তোমার দেয়া দেশটা শুধু আছে, নাম ভাঙিয়ে খা...বিস্তারিত


দিক হারা পথিক

আফছার উদ্দিন লিটন: দিক হারা পথিক আফছার উদ্দিন লিটন বেকারত্বের অভিশাপে তরুণদের মনে হাহাকার কে দেবে তাদের কর্মসংস্�...বিস্তারিত


জনতা ব্যাংক চাক্তাই শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চট্টলার ডাক ডেস্ক: জনতা ব্যাংক পিএলসি চাক্তাই শাখার উদ্যোগে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশত “ ৫০ দিনের বি...বিস্তারিত


নারী শুধু ঘর সামলায় না

মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী ‘নারী মাঠে যেতে পারে না’-এ কথা আমরা বলতে চায় না। তারা সব পারে; কিন্ত পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান �...বিস্তারিত