শিরোনাম
আফছার উদ্দিন লিটন: | আপডেট: ০৬:৪১ পিএম, ২০২১-০১-২৩ 743
মো. নাছির উদ্দিন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশেনের (চসিক) ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি চান্দগাঁও ৪নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। চান্দগাঁও কালুরঘাট ট্রাক মালিক সমিতির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্ম বিষয়ক সম্পাদক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চট্টলার ডাক পত্রিকার সম্পাদক আফছার উদ্দিন লিটন।
আফছার উদ্দিন লিটন : আসন্ন চসিক নির্বাচন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
মো. নাছির উদ্দিন : নির্বাচন কমিশনের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে চসিক নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন হয়। নির্বাচন নিয়ে আমার বেশকিছু পরিকল্পনা রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ মাদক, সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত নিরাপদ বাসযোগ্য মডেল ওয়ার্ড গড়ে তোলা, নর্দমার ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কার্যক্রম জোরদার করা, যে সমস্ত সরকারি প্রাইমারি স্কুলে খেলার মাঠ আছে তা খেলাধূলার উপযোগী করে তোলা, সরকারিভাবে বেকার যুবক-যুবতিদের জন্য স্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
আফছার উদ্দিন লিটন : আওয়ামী লীগ থেকে চসিক নির্বাচনের জন্য যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা কি সকলেই যোগ্য?
মো. নাছির উদ্দিন : মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ব্যতীত অন্য কাউন্সিলরদের আমি দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনে করি না। এক্ষেত্রে যোগ্যতর প্রার্থীকেই ভোটাররা বেছে নেবেন।
আফছার উদ্দিন লিটন : আপনার নির্বাচনী এলাকার প্রধান সমস্যা সমূহ কি কি?
মো. নাছির উদ্দিন : আমার নির্বাচনী এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা জনবান্ধব হয়নি। যার দৃষ্টান্ত এলাকা ভিত্তিক রাস্তাগুলো বেশি উঁচু করাতে মানুষের বসত ভিটেগুলো নীচু হয়ে যাওয়াতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া আমার এলাকায় মাদক এবং জলাবদ্ধতা সমস্যা রয়েছে।
আফছার উদ্দিন লিটন : অন্যান্য এলাকার উন্নয়নের চেয়ে আপনার এলাকা উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে, এর কারণ কী?
মো. নাছির উদ্দিন : এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত। অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে আমার নির্বাচনী এলাকা উন্নয়নের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকার কারণ হলো অযোগ্য কাউন্সিলর। কাউন্সিলরের অনুসারিগণ মাদক ব্যবসা এবং ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এলাকার উন্নয়নে তেমন একটা মনোযোগ নেই।
আফছার উদ্দিন লিটন : আপনার এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা কেমন?
মো. নাছির উদ্দিন : আমার নির্বাচনী এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা প্রকট। সিডিএ এবং চসিকের সমন্বয়হীনতার কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য যে প্রকল্পগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা উপযোগী নয়। সামান্য বৃষ্টি হলে পুরো চান্দগাঁও জলাবদ্ধায় ছেয়ে যায়। ফুটপাত করে চসিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শেষ করার আগেই সেই ফুটপাত ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
আফছার উদ্দিন লিটন : ভূমিদস্যু প্রতিরোধে সরকারের করণীয় কী?
মো. নাছির উদ্দিন : ভূমিদস্যুদের প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে যাতে এরা ছাড় না পায় সে ব্যাপারে আদালতে সচেষ্ট থাকতে হবে। জনগণ যদি দেশপ্রেমিক কাউন্সিলরদের নির্বাচিত করে তাহলে শুধু ভূমিদস্যু প্রতিরোধ নয় সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কাজে যোগ্য কাউন্সিলরগণ বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে পারবে।
আফছার উদ্দিন লিটন : চসিকের ঠিকাদারী কাজ নিয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
মো. নাছির উদ্দিন : প্রথমত, প্রত্যেক ঠিকাদারকে চসিকের প্রকৌশলীকে একটা কমিশন দিতে হয়। এরপর কমিশন দিতে হয় কাউন্সিলদেরকে। এ যদি হয় তাহলে কাজের মান কিভাবে ভাল হবে।
আফছার উদ্দিন লিটন : নগরীর প্রায় সব ওয়ার্ডে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ নিয়ে কম-বেশি অভিযোগ থাকে। এর কারণ কী?
মো. নাছির উদ্দিন : কাউন্সিলদের গাফিলতি ও জনসচেতনতার কারণে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের কাজ করতে সমস্যা হয়। আমি নির্বাচিত হলে নর্দমার ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জোর চেষ্টা চালাব।
আফছার উদ্দিন লিটন : ভুক্তভোগীদের অভিযোগ থেকে জানা যায় চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নালা-নর্দমা থেকে ময়লা অপসারণ করে সপ্তাহর উপরে রাস্তায় ফেলে রাখে, অথচ এগুলো সাথে সাথে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা ময়লার ভাগারে নিয়ে যাওয়ার কথা?
মো. নাছির উদ্দিন : আসলে এগুলো কাউন্সিলদের গাফিলতির কারণেই হচ্ছে। এর জন্য যোগ্য কাউন্সিলর দরকার। যারা ওয়ার্ডের কাজ আন্তরিকতার সাথে করবে। আমাদের মনে রাখা উচিত কাউন্সিলরদের জনগণের রাজস্বের টাকায় বেতন হয়। সেজন্য জনগণের সকল সুযোগ-সুবিধা বাধ্যতামূলক দিতে হবে।
আফছার উদ্দিন লিটন : চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দেশে হঠাৎ করে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?
মো. নাছির উদ্দিন : যুগে যুগে আমাদের দেশে ধর্ষণ হয়ে আসছে। আইন আছে অথচ আইনের প্রয়োগ নেই। আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে সাড়া দেশে। ইন্টারনেটে কুরুচিপূর্ণ সাইট গুলো বন্ধের ব্যাপারে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আফছার উদ্দিন লিটন : কিছু অসৎ প্রকৃতির আইনজীবীরা বাদি-বিবাদি উভয় পক্ষ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নিয়ে মামলার দীর্ঘসূত্রিতা করেন। এতে বাদির অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হয়। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
মো. নাছির উদ্দিন : এটি একদম চির সত্য কথা। আমাদের দেশের কৃষক, জেলে, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, গার্মেন্টস শ্রমিক, শিল্প-কারখানার শ্রমিকÑআমরা যারা নিুবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত আইনজীবীদের অনৈতিকতার কারণে ন্যায়বিচার ও সুশান থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। কেননা তাদের চাহিদা মতো অর্থের যোগান দিতে না পারায় তারা মামলাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে।
আফছার উদ্দিন লিটন : দেশের থানা এবং আদালতগুলো থেকে সাধারণ মানুষ ন্যায়বিচার পায় না, তখন পুলিশ এবং এর গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের ভুয়া প্রতিবেদন দেয়াকে দোষারোপ করেন?
মো. নাছির উদ্দিন : কিছু সংখ্যক পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজনের কারণে সাধারণ জনগণ ন্যায়বিচার এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এক্ষেত্রে আমি বলবো পুলিশ প্রশাসনের লোক যত সৎ হবে দেশের মানুষ ততো আইনি সেবা পেতে সহজতর হবে।
আফছার উদ্দিন লিটন : দেশের রাজনীতিতে এখন হাইব্রিড বেড়ে যাওয়ায় প্রকৃতরা কোণঠাসা। রাজনীতি উল্টা পথে চলার কারণ কী?
মো. নাছির উদ্দিন : এখন আমাদের বড় বড় নেতারা টাকার বিনিময়ে এবং খাঁটি বাঘাবাড়ি ঘি মেখে নেতাদের খুশি রেখেছে। যার কারণে ওরাই আজ সকল জায়গায় সফল। এটাই হাইব্রিডদের পক্ষে সম্ভব। আমরা যারা রাজপথে রাজনীতি করে নিঃস্ব হয়েছি আমাদের কদর নেই বললেই চলে।
আফছার উদ্দিন লিটন : করোনাকালে আপনার পক্ষ থেকে অত্র ওয়ার্ডের জনগণ কি কি সুবিধা পেয়েছে?
মো. নাছির উদ্দিন : করোনাকালে আমি খাদ্য সামগ্রী এবং মাস্ক ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার বিতরণ করি। এছাড়া আমার নির্বাচনী এলাকায় করোনায় যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করেছি।
আফছার উদ্দিন লিটন: অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধ...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী। চট্টগ্রামের নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র। অত্যন্ত বিনয়ী এবং সাংস্কৃতিকবান্ধব এ�...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক আলহাজ্ব মোতাহোরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান। চট�...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক ...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক এম এ লতিফ এম.পি। চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনের এমপি। তিনি তিনবারের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি একজন ব্যবসায়...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন: মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী, আংশিক বায়েজীদ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁর �...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak