শিরোনাম
আফছার উদ্দিন লিটন: | আপডেট: ০৬:৩১ পিএম, ২০২১-০১-২৩ 525
সাক্ষাৎকার
মো. এসরারুল হক এসরাল। তরুণ রাজনীতিবিদ ও সাবেক ছাত্রনেতা। তিনি চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার এ ব্লকে অবস্থিত ‘‘দৃষ্টি” মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টা। আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে তিনি ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের জনগণের মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। কথিত আছে অনেক মাদকসেবীকে তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে আলোর পথে ফিরিয়ে এনেছেন। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশটুকু পাঠকদের জন্য তুলে ধলা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চট্টলার ডাক পত্রিকার সম্পাদক আফছার উদ্দিন লিটন।
আফছার উদ্দিন লিটন: আসন্ন চসিক নির্বাচন নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
মো. এসরারুল হক এসরাল : আমি প্রচারণা করছি। মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষও পরিবর্তন চাই। তাই তারা সৎ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘুড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি এলাকায় প্রধান সমস্যগুলো কি কি?
মো. এসরারুল হক এসরাল : শুধু আমার নয়, সমগ্র চট্টগ্রাম শহরের প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। যেটার কাজ চলমান রয়েছে। এই ওয়ার্ডে মশক নিধন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার সমস্যা রয়েছে। অপরিকল্পিত রাস্তাগুলোর টেন্ডার কাজ যথাসময়ে সম্পাদন না হওয়ায় কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য এ ওয়ার্ডের জনগণ চরম অস্বস্তিতে রয়েছে। খেলাধূলার মাঠ না থাকায় কিশোর অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি নির্বাচিত হলে এসব বিষয়ের উপর জোড় দেব।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি এলাকায় মাদক সমস্যা দূরীকরণে আপনি কতটুকু আন্তরিক?
মো. এসরারুল হক এসরাল : মাদক একটি সার্বিকভাবে সামাজিক সমস্যা। যেটা থেকে ৪নং ওয়ার্ডও মুক্ত নয়। আমি নিজেই একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি নির্বাচিত হলে মাদক নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে এলাকাবাসীর সমন্বয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিব।
আফছার উদ্দিন লিটন: ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডে কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে; আপনি নির্বাচিত হলে তা নিয়ন্ত্রণে কি ব্যবস্থা নেবেন?
মো. এসরারুল হক এসরাল : বেকারত্ব এবং সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে দিন দিন সমাজে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি নির্বাচিত হলে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও নৈতিক শিক্ষাসহ খেলাধূলার সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই শ্রেণির মানুষকে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিব।
আফছার উদ্দিন লিটন: চান্দগাঁও ওয়ার্ডটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কারণ কী?
মো. এসরারুল হক এসরাল : হ্যাঁ, উন্নয়নের ক্ষেত্রে এখনো অনেকটা পিছিয়ে। ৪নং ওয়ার্ডটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) আওতাভুক্ত হলেও নাগরিক সুযোগ-সুবিধাসহ অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। আমি নির্বাচিত হলে আধুনিক উন্নত মানসম্মত একটি হেলদি ওয়ার্ড গঠনে উদ্যোগ নিব।
আফছার উদ্দিন লিটন: জলাবদ্ধতা চট্টগ্রাম শহরের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। আপনার ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে আপনি কি কি উদ্যোগ নিয়েছেন?
মো. এসরারুল হক এসরাল : আগেই বলেছি, জলাবদ্ধতা ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। তা নিরসনে সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমি নিজ উদ্যোগে নির্বাচনের আগে থেকে ৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিতভাবে নালা-নর্দমা, পরিস্কার-পরিচ্ছনতা অভিযান পরিচালনা করেছি।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি ইশতেহার কি কি?
মো. এসরারুল হক এসরাল : “পরিবর্তন যখন একমাত্র দাবী, তবে চাই সৎ,তরুণ, উদ্যমী” এই স্লোগান নিয়ে আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। আমার নির্বাচনী ইশতেহারগুলো হলোÑচলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ তৎপর ও নিবেদিত প্রাণ থেকে অত্র এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতামুক্ত ওয়ার্ড উপহার দেয়া। মাদক, কিশোর অপরাধ ও ইভটিজিং বন্ধে খেলার মাঠ, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন, কাউন্সিলিং, ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা, প্রশাসন এবং এলাকাবাসীর সাথে সমন্বয় করে তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো। মশক নিধনে নিয়মিত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবো। উঠতি বয়সী বিপদগামী কিশোরদের বিশেষত রাজনীতির নামে পাড়া-মহল্লায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার বিরুদ্ধে এলাকার সামাজিক সংগঠন, মহল্লা কমিটি, প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করবো। অত্র এলাকার যুব সংগঠক হিসেবে ও এলাকাবাসীর সহযোগতীয় পরিবর্তনের সক্ষমতা আছে বলেই এলাকাবাসীকে বিশেষভাবে কথা দিচ্ছি। প্রত্যেক পরিবারের কর্মক্ষম তরুণদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। অত্র ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করবো। অত্র ওয়ার্ডে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার ও আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ব্যায়ামাগার প্রতিষ্ঠা করবো। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করে নারী ও শিশুদের বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করবো। আধুনিক, পরিবেশ সম্মতভাবে আবর্জনা ও বর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবো। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রয়োজনীয় সুবিধাসহ অভিভাবক ছাউনির ব্যবস্থা করবো। ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পারিবারিক ও জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ প্রতি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মুরব্বীদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা সালিশী প্রক্রিয়ায় নিষ্পত্তির ব্যবস্থা চালু করবো ইত্যাদি।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনি জয়ী হতে পারলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিবেন?
মো. এসরারুল হক এসরাল : প্রথমত, জলাবদ্ধতা চলমান প্রকল্প কাজে দ্রুত সম্পন্নের জন্য আমার অবস্থান থেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা। দ্বিতীয়ত, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করে অযথা যত্রতত্র রাস্তা খুঁড়াখুড়ি বন্ধ করে নির্বিঘেœ যান চলাচলে ব্যবস্থা করবো। তৃতীয়ত, মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বিভিন্ন নাগরিক সেবা প্রদান দ্রুত ও সহজ করার ব্যবস্থা থাকবে। যেমনÑঅপরিচ্ছন্নতা বা নালা ভরাট হবার ছবি আপলোড করলে ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যে পরিচ্ছন্নতা কর্মী গিয়ে পরিস্কারের ব্যবস্থা করবেন। অন্য যেকোন সমস্যাও এই অ্যাপসের মাধ্যমে ওয়ার্ডবাসীরা জানাতে পারবেন। এখানে গুরুত্বপূর্ণ সব নাম্বারের একটি ডাটাবেজও দেয়া থাকবে।
আফছার উদ্দিন লিটন: করোনাকালে আপনার অবদান ওয়ার্ডবাসীদের জানাবেন কী?
মো. এসরারুল হক এসরাল: প্রথম থেকেই আমি ৪/৫ হাজার জীবাণুনাশক সাবান, সচেতনতামূলক লিফলেট, করোনা রোগীর চিকিৎসা সংকটের সময় ফ্রি অক্সিজেন সেবা, নিু আয়ের মানুষের ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ এবং প্রতি শুক্রবার হৃতদরিদ্র ২৫০ থেকে ৩০০ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। এক্ষেত্রে নির্বাচনী বিধিমালার কারণে আপাতত দুই সপ্তাহ এই কার্যক্রম স্থগিত রেখেছি।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনি জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?
মো. এসরারুল হক এসরাল : আমি জনগণের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। গণসংযোগে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষও পরিবর্তনের ব্যাপারে উৎসাহী। তাই আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
আফছার উদ্দিন লিটন: সাক্ষাৎকারে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মো. এসরারুল হক এসরাল : আপনাকেও ধন্যবাদ। আমার সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য।
আফছার উদ্দিন লিটন: অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধ...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী। চট্টগ্রামের নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র। অত্যন্ত বিনয়ী এবং সাংস্কৃতিকবান্ধব এ�...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক আলহাজ্ব মোতাহোরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান। চট�...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক ...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক এম এ লতিফ এম.পি। চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনের এমপি। তিনি তিনবারের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি একজন ব্যবসায়...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন: মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী, আংশিক বায়েজীদ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁর �...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak