আজ  মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪


২০১৫ সালে চসিক নির্বাচনে আমার দেয়া নির্বাচনি অঙ্গীকারগুলো ৯৫শতাংশ বাস্তবায়ন করেছি

  আফছার উদ্দিন লিটন:   |   আপডেট: ০১:৩১ পিএম, ২০২১-০১-১৯    339

 

২০১৫ সালে চসিক নির্বাচনে আমার দেয়া নির্বাচনি অঙ্গীকারগুলো ৯৫শতাংশ বাস্তবায়ন করেছি


সাক্ষাৎকার


 

মো. মোবারক আলী। তরুণ সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের  সাবেক সফল কাউন্সিলর। তিনি এ ওয়ার্ড থেকে জনগণের মনোনীত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। একান্ত সাক্ষাৎকারে তাঁর সাথে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন(চসিক) নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে এখন কোনো ভাঙ্গা রাস্তা  পাওয়া যাবে না। এ ওয়ার্ড এখন একটি ক্লিন ওয়ার্ড। সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশটুকু পাঠকদের জন্য তুলে ধলা হলো। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চট্টলার ডাক পত্রিকার সম্পাদক আফছার উদ্দিন লিটন।

আফছার উদ্দিন লিটন: ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে আপনার জনপ্রিয়তাকে আপনি কোন পর্যায়ে মাপেন?
 

মো. মোবারক আলী: আমার জনপ্রিয়তা কোন পর্যায়ে এটা দেখার জন্য ২৭ তারিখ পর্যন্ত  অপেক্ষা করতে হবে। আমি বিগত পাঁচ বছর ধরে এলাকার মানুষের সাথে ছিলাম এবং আছি। এলাকার মানুষ আমাকে পছন্দ করে বলে আমার বিশ^াস। আমি আশাবাদি, এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি এলাকায় প্রধান সমস্যগুলো কি কি?

মো. মোবারক আলী: আমার নির্বাচনি এলাকার প্রধান সমস্যা ছিল জলাবদ্ধতা। যেটা নিরসনের পর্যায়ে আছে। এটা আগামী বছর নাগাদ শেষ হবে আশা করা যায়। তারপর আমাদের এলাকায় বিশাল জনসাধারণের জন্য পূর্ণাঙ্গ কলেজ বা মহিলা কলেজ নাই। এটা আমার সদয় বিবেচনায় আছে। আমার ওয়ার্ডে সরকারি কমিউনিটি হলের প্রয়োজন রয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে স্বল্প আয়ের মানুষগুলো সামাজিক অনুষ্ঠান করতে পারবে। এছাড়া আমার নির্বাচনি এলাকায় ব্যাপক না হলেও মাদকের একটা সমস্যা আছে। এটা নিরসনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। জনসচেতনাতার মাঝে মাদক নির্মুল করার প্রয়াস থাকবে।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি এলাকায় মাদক সমস্যা দূরীকরণে আপনি কতটুকু আন্তরিক?

মো. মোবারক আলী: এক্ষেত্রে আমি বিগত সময়ে মাদক ব্যবসায়ী যারা তাদেরকে চিহ্নিত করে পুলিশ কমিশনার ও চসিকের আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে উপস্থাপন করেছি। একইভাবে আমরা মাদক নির্মূলে পারিবারিকভাবে সমস্যা নিরসনে চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সেমিনার করে তা নির্মূল করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি এলাকায় কিশোর গ্যাংসহ নানা অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে; আপনি নির্বাচিত হলে তা প্রতিরোধে কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন?

মো. মোবারক আলী: এ প্রশ্নের উত্তরে বলতে চাই, আমার নির্বাচনি এলাকায় প্রায় চার লক্ষ মানুষের বসবাস। ৯৩ হাজার ভোটার, প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি বলা যায়। তার মধ্যে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত  হলে ১ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। সে হিসেবে এটা বৃহত্তর এবং বিশাল জনসাধারণের এলাকা। অপরাধপ্রবণ এলাকা বলা হলেও সে অনুপাতে অপরাধ প্রবণতা নেই বললেই চলে। যেহেতু আমার নির্বাচনি এলাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। কাজেই এখানে নি¤œ আয়ের মানুষ বেশি থাকায় একটু অপরাধ প্রবণতা থাকতে পারে। আমি আমার এলাকাবাসীকে কথা দিচ্ছি আমি নির্বাচিত হলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে জোড়ালো পদক্ষেপ নেব।

আফছার উদ্দিন লিটন: অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোর চেয়ে আপনার ওয়ার্ড উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগিয়ে নাকি পিছিয়ে?

মো. মোবারক আলী: এক সময় উন্নয়নে পিছিয়ে ছিল। সেটা বিগত সময়গুলোতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে হয়েছিল। আপনি দেখবেন যে, এখন যেকোনো ওয়ার্ডের চেয়ে ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড কার্যালয় সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এ ওয়ার্ড এখন একটি ক্লিন ওয়ার্ড। অবকাঠামোগতভাবে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে এখন কোনো ভাঙ্গা রাস্তা পাওয়া যাবে না। নতুন নতুন আবাসিক এলাকা রূপান্তর  হয়েছে। শুধু ওয়াসার কাজের জন্য কিছু জায়গায় দু’একটা রাস্তা কাটিং রয়েছে। তা নিরসনেও কাজ চলছে। আমি পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে সড়ক বাতি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড সম্পর্কে এলাকার মানুষ বলে এটি একটি নতুন পশ্চিম ষোলশহর।  

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি এলাকায় জলাবদ্ধতা সমস্যা আছে কী?

মো. মোবারক আলী: অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে আমার এলাকা নিচু হওয়ায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আমার এলাকায় নাজির পাড়া, মোহাম্মদপুর, জাঙ্গাল পাড়া, খতিবের হাট, মুরাদপুর এবং বিবির হাটের কিছু অংশ প্রায়শ জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। আপনারা জানেন যে, অল্প বৃষ্টিতে পানি উঠে যাওয়ার কারণে আমার এলাকা প্রতিবছর মিডিয়ার খবরের শিরোনাম হয়ে থাকে। মিডিয়ার লোকজন আমার এলাকার জলাবদ্ধতার ছবিগুলো এখান থেকে সংগ্রহ করে পত্রিকায় ছাপিয়ে থাকেন। সে হিসেবে আমার এলাকা একটি জলাবদ্ধতাময় এলাকা বলা যায়। তবে আশার কথা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায়  এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে এখানকার জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ দ্রুত  গতিতে এগিয়ে চলছে। আমার নির্বাচনি এলাকায় বৃহৎ দুটি খাল রয়েছে। প্রথমটি ত্রিপুরা খাল। এ খালের কাজ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। অপরটি চশমা খাল থেকে মির্জা খালে পরিণত হয়েছে। যেটা হাজি খালে পরিণত হয়েছে। এ খালের কাজ প্রায় ইতোমধ্যে ৫০শতাংশ শেষ হয়েছে। এ ওয়ার্ডে সেকেন্ডারি যে ড্রেন রয়েছে নাজির পাড়া মাদ্রাসা মাঠের পাশে মোহাম্মদপুরে প্রায় ৫০শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ড্রেনের পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। ২০২১ সাল হবে পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড থেকে জলাবদ্ধতা মুক্তির বছর।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে আপনি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?

মো. মোবারক আলী: জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রথম দুই বছর ব্যাপকভাবে মাটি উত্তোলন ও নালা সংস্কারের কাজ করলেও পরবর্তীতে জলাবদ্ধতা মেঘা প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নির্ধারণ করে খাল ও নালা উন্নয়নের কাজ চলমান আছে। এ কাজ সমাপ্ত হলে জলাবদ্ধতামুক্ত ওয়ার্ড হিসেবে গণ্য হবে। ইতোমধ্যে আরও ৮৫ কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার নির্বাচনি ইশতেহার ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাগুলো  কি কি?

মো. মোবারক আলী: আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে চলমান উন্নয়ন কাজ এগিয়ে নেওয়া। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন কাজটি তদারকির মাধ্যমে আদায় করা। ওয়াসার স্থাপিত লাইন সচল করে সুপেয় পানির প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। সুয়ারেজ লাইন স্থাপনের ক্ষেত্রে অত্র ওয়ার্ডকে অগ্রাধিকার প্রদানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। যাতে মলমূত্র নালায় না ফেলে সুয়ারেজ লাইনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যকর ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়। সকল সড়ক হতে বিদ্যুৎ এর পোল অপসারণ করে মাটির নিচে বৈদ্যুতিক তার নিয়ে যাওয়া। ওয়ার্ড এলাকার সকল নালা নর্দমায় স্ল্যাব দিয়ে ঢেকে দেওয়া এবং সেগুলোকে ফুটপাত অথবা রাস্তার  অংশ হিসেবে ব্যবহার করা। এতে নালায় মশক সৃষ্টিরোধ ও আবর্জনার মাধ্যমে নালা ভর্তি হওয়া রোধ সম্ভব হবে। ওয়ার্ডকে জিরো গার্ভেজ বা শূন্য বর্জ্যরে ওয়ার্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ওয়ার্ডের সকল অলি-গলি সহ শতভাগ রাস্তা, পাকা রাস্তার আওতায় নিয়ে আসা এবং নিয়মিত সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা। মাদক ও সন্ত্রাস স্বমূলে নির্মূল করা। শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখা, ক্ষেত্র অনুযায়ী মেধাবীদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করা। বস্তি ও দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে  আইনি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা। শতভাগ প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের ভাতা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। সরকারিভাবে হাইস্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। এলাকা ভিত্তিক শিশুপার্ক এবং তরুণদেরকে বইমুখি করার জন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা। বেকার যুবক-যুবতীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। বিবিরহাট কাঁচা বাজারকে কিচেন মার্কেট হিসেবে আধুনিকায়ন করা। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে স্বল্পমূল্যের কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করা।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনি জয়ী হতে পারলে কোন বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিবেন?

মো. মোবারক আলী: ২০১৫ সালে চসিক নির্বাচনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমি যে নির্বাচনি অঙ্গীকারগুলো দিয়েছি তার ৯৫শতাংশ কাজ আমি বাস্তবায়ন করেছি। এখন যে বিষয়গুলো গুরুত্ব দিচ্ছি তাহলো রাস্তার  পাশে যে সরু সরু ড্রেন এবং এলাকাভিত্তিক যে সরু সরু রাস্তা  রয়েছে তার উন্নয়নে কাজ করা। এটা আমার একটি প্রায়োরিটি থাকবে। আমার নির্বাচনি ওয়ার্ড এলাকায় নি¤œ আয়ের মানুষের জন্য সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য সরকারিভাবে একটা কমিউনিটি হলের প্রয়োজন রয়েছে। সেটিও আমার প্রায়োরিটি থাকবে। সুপেয় পানির জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসাকে দিয়ে ওয়ার্ড এলাকায় প্রতিটি অলিতে-গলিতে সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। শীঘ্রই সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে সুপেয় পানির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ওয়ার্ড এলাকাবাসী। একই লাইন অগ্নিকান্ডের সময় পানির ব্যবস্থা রাখার জন্য ওয়াসার মাধ্যমে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চসিক পরিচালিত জহুর আহমদ চৌধুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে স্থাপন করার জন্য অঙ্গীকার থাকবে।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার মেয়াদকালে অত্র ওয়ার্ডের কি কি উন্নয়ন হয়েছে?

মো. মোবারক আলী: আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে বিগত ৪ বছর ৮ মাস সময়ে ৪০,০১৬টি জাতীয়তা সনদ, ৩৪,৩৭৩টি জন্মনিবন্ধন সনদ, ৬৭০টি মৃত্যু সনদ, ২৭৬৮টি ওয়ারিশ সনদ ও ৮,৫০২টি বিভিন্ন প্রকার সনদ প্রদান করি। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫টি পাসপোর্ট আবেদন সহ বিভিন্ন প্রকার ডকুমেন্ট সত্যায়ন করি। কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ৪৫ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে আবর্জনা রাখার বিন। ৩৫টি ভ্যান এবং ৭টি টমটম গাড়ি ৯৪জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ডোর টু ডোর আবর্জনা অপসারণের কাজে নিয়োজিত আছে। সড়ক বাতি ৭৩০ থেকে ১৩৮০ তে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। ওয়ার্ড কার্যালয়কে নান্দনিকভাবে সাজিয়ে করা হয়েছে গণমুখী, স্থাপন করা হয়েছে নগর ডিজিটাল সেন্টার। দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জামাদী সহ ৫০ সদস্যের প্রশিক্ষিত আরবান ভলিন্টিয়ার টিম গঠন করা হয়েছে। অগ্নিকান্ডে ও বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সিটি কর্পোরেশন ও ব্যক্তিগত খাত থেকে দেওয়া হয়েছে ব্যাপক ত্রাণ সহায়তা। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য জাতীয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা পদক-২০১৭তে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যাউৎসাহী সমাজকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৬ লক্ষ টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াও অফেরতযোগ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অনুদান, শিক্ষা অনুদান, দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ অনুদান প্রাপ্ত হয়েছে ১০৭৩টি পরিবার। যার পরিমাণ ৭ কোটি ১৫ লক্ষ ৯ হাজার টাকা। অত্র ওয়ার্ডে বয়স্কভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রাপ্ত হচ্ছে ১০০৯ জন। শিক্ষা উপবৃত্তি পাচ্ছে ৪০ জন।
স্বাস্থ্য সেবা খাতে ৪৫০টি পরিবারকে ব্র্যাক স্বাস্থ্য সেবা কার্ড ও ১ হাজার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে মেয়র হেলথ কার্ড। যার মাধ্যমে পরিবারের সকল সদস্য পাচ্ছে বিনামূল্যে নরমাল ও সিজার ডেলিভারি করার সুবিধা। দুর্ঘটনায় ৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা, বিনামূল্যে ঔষধ ও মেডিকেল টেস্ট সহায়তা দিচ্ছি। প্রতিটি আবাসিক সহ পাড়া মহল্লার অলি গলি সহ সকল স্থানে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১৭টি সড়ক উন্নয়ন করা হয়েছে। বাকী রয়েছে ১০ শতাংশ সড়ক ও অলি গলির উন্নয়ন।

আফছার উদ্দিন লিটন: এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে যেতে চাই। আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে পাঠকদের কিছু বলবেন কী?

মো. মোবারক আলী: ব্যক্তিগত জীবনে আমি বিবাহিত। আমার একজন স্ত্রী রয়েছে। আমার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। আমার মা-বাবা দু’জনেই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে গত হয়েছেন। তাঁদের হারানো শূন্যতা আমার জীবনের একটা ট্র্যাজেডি। ২০১৫ সালে চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে আমি যখন জয়লাভ করি, আমার যখন আনন্দের সময় তখন আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। তাঁরা দু’জনেই আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমার পরিবার একটা রাজনৈতিক পরিবার। আমার বড় ভাই মনির আহমদ এক সময় ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। অন্যজন শাহেদ আলী রানা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। ছোট ভাই তালেব আলী চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

আফছার উদ্দিন লিটন: আপনি জয়ের ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী?

মো. মোবারক আলী: আমি জয়ের ব্যাপারে ইনশাআল্লাহ শতভাগ আশাবাদী। আগামী ২৭ জানুয়ারি এ ওয়ার্ডের জনগণ আমাকে টিফিন ক্যারিয়ার মার্কায় ভোট দিয়ে ও মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে।

 

আফছার উদ্দিন লিটন: সাক্ষাৎকারে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মো. মোবারক আলী: আপনাকেও ধন্যবাদ। আমার সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য।

 

রিলেটেড নিউজ

স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কোথায়?

মো. রাশেদুল ইসলাম-রাশেদ স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কোথায়? মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ   তোমার দেয়া দেশটা শুধু আছে, নাম ভাঙিয়ে খা...বিস্তারিত


দিক হারা পথিক

আফছার উদ্দিন লিটন: দিক হারা পথিক আফছার উদ্দিন লিটন বেকারত্বের অভিশাপে তরুণদের মনে হাহাকার কে দেবে তাদের কর্মসংস্�...বিস্তারিত


জনতা ব্যাংক চাক্তাই শাখার গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

চট্টলার ডাক ডেস্ক: জনতা ব্যাংক পিএলসি চাক্তাই শাখার উদ্যোগে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশত “ ৫০ দিনের বি...বিস্তারিত


নারী শুধু ঘর সামলায় না

মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী ‘নারী মাঠে যেতে পারে না’-এ কথা আমরা বলতে চায় না। তারা সব পারে; কিন্ত পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান �...বিস্তারিত


দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝে না কেউ

মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী (১) আমি শুধুশুধু অনর্থক যেই ভদ্রলোকটার  বিরুদ্ধে আক্রোশ বা ষড়যন্ত্র করি, পরবর্তীতে দেখা যায় তার অ�...বিস্তারিত


তরুণ প্রকাশকদের অংশগ্রহণে তিনদিনব্যাপী ‌‌প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চট্টলার ডাক ডেস্ক: তরুণ প্রকাশকদের অংশগ্রহণে তিনদিনব্যাপী ‌‌'সৃজনশীল প্রকাশনা খাত: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্�...বিস্তারিত