শিরোনাম
চট্টলার ডাক ডেস্ক: | আপডেট: ০৮:১৩ পিএম, ২০২৪-১০-১০ 79
মিজান সাহেব সরকারি কলেজের শিক্ষক। ছয় মাস ধরে উনার পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত যায়। সংকোচ করে কারো সাথে শেয়ার করেননি বা কোন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি। অবশেষে রক্তশূন্যতা সহ শারীরিক দূর্বলতা দেখা দিলে মিজান সাহেব ডাক্তারের কাছে যান। পরীক্ষার পর উনার পাইলস বা হেমোরয়েডস বা অর্শ রোগ ধরা পরে। সাধারণত পাইলস বা হেমোরেয়ডস, এনাল ফিসার বা গেজ, কোলন বা পায়ুপথের ক্যান্সার সহ আরও অনেক রোগে পায়খানার রাস্তায় রক্ত যায়। পায়ুপথের রোগের মধ্যে পাইলস বা অর্শ খুবই কমন একটি রোগ। আতংকিত না হয়ে একজন শল্যচিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হতে পারে।
মলাশয়ের নিচের অংশ বা মলদ্বারের শিরাগুলো ফুলে যাওয়াকেই পাইলস বা হেমোরয়েডস বলে। হেমোরয়েডস দু'ধরনের হয়, আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক। আভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস পায়ুপথ বা মলদ্বারের অভ্যন্তরে হয়ে থাকে। আভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডসকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রিতে ভাগ করা হয়। পাইলস বা হেমোরয়েডসকে অর্শরোগও বলা হয়।
হেমোরয়েডস হওয়ার পিছনে যেসব কারণগুলিকে দায়ী সেগুলি হল- কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া, স্থূলতা, বেশি সময় বসে থাকা, দীর্ঘসময় টয়লেটে বসে থাকা, হেমোরয়েড শিরায় কপাটিকার অনুপস্থিতি ও বার্ধক্য, পুষ্টিকর খাবার খাওয়ায় ঘাটতি, ব্যায়াম না করা, পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি, জন্মগত, গর্ভাবস্থায় জরায়ু বড় হওয়া। ফলে, কোলনের শিরায় চাপ পড়ে বলে শিরা স্ফীত হয়। যে কারণে পাইলস হয়। প্রথম দিকে ওষুধ ও সাবধানতা মেনে চললে এই রোগ সেরে যায়। তবে, জটিল আকার ধারণ করলে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে। বর্তমানে কাটাছেড়া রক্তপাতবিহীন লংগো, লেজার অপারেশনের সাহায্যে এ রোগের চিকিৎসা করা যায়।
পাইলস বা হেমোরেয়ডস এর লক্ষণসমূহ
ক) মলের সাথে রক্ত পড়া পাইলসের প্রধান লক্ষণ।
খ) সাধারণত এ রক্তপাত ব্যথাবিহীন।
গ) মলদ্বারের চারপাশে ফুলে যায় ও চুলকানি হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও সঠিক ট্রিটমেন্ট করলে কোনও অপারেশন ছাড়া কিছু নিয়মকানুন ও ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রি পাইলসের ক্ষেত্রে এবং কিছু জটিলতা দেখা দিলে অপারেশনের প্রয়োজন হয়।
কিছু পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চললে এই রোগ প্রতিরোধ হতে পারে -
ক) পায়ুপথের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।
চ) প্রদাহ বা সংক্রমণের দ্রুত চিকিৎসা নিন।
ছ) প্রতিদিন প্রচুর আঁশযুক্ত সবজি, ফলমূল ও খাবার গ্রহণ করবেন। মাংস, কম আঁশ ও বেশি চর্বিযুক্ত খাবার, কড়া মশলা, ফাস্টফুড ইত্যাদি পরিহার করুন।
জ) বেশি করে জল পান করুন।
ঝ) কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা করুন। মলত্যাগে কখনও বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না, আটকে রাখবেন না।
ঞ) ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। এছাড়া, নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য কমে। তাই শরীরচর্চা করুন।
ডা. এস এম সরওয়ার, এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি), এফএসিএস (আমেরিকা), সহকারী অধ্যাপক সার্জারি, জেনারেল, ল্যাপারোস্কপিক ও কলোরেক্টাল সার্জন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ। পার্কভিউ হাসপাতাল লিমিটেড। পাচঁলাইশ, কাতালগঞ্জ, চট্টগ্রাম।
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্রা...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak