শিরোনাম
মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী | আপডেট: ০৫:২৪ পিএম, ২০২৪-০৮-০২ 460
‘নারী মাঠে যেতে পারে না’-এ কথা আমরা বলতে চায় না। তারা সব পারে; কিন্ত পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান অনেক সময় নির্ধারণ করে যে, তারা কি করবে। নারীরা বিভিন্ন কাজ করছে। তারা ব্যবস্থাপনায় আছে, বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে। শুধু অফিসে নয়, তারা ফসল উৎপাদন করছে। নারী শুধু ঘর সামলায় না, তারা ফসল ফলায়, দুর্যোগ প্রবণ এলাকার নারীও উঠে এসেছে। তারা নতুনভাবে উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে ধান রোপণ, সবজি চাষ এবং তাদের পরিবারের জন্য মিষ্টি পানির ব্যবস্থা করছে। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নারীকেও এসব জায়গায় সাহায্য করছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, বাংলাদেশের নারীর অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে; কিন্তু তারা সামাজিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি!
সত্যি বলতে কি, মেয়েরা কিন্তু ছেলেদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী! যেহেতু তারা নিজেদের শরীরে একটা সন্তান নিয়ে চলাফেরা করতে পারে। পুরুষ হিসেবে একজন নারীর সঙ্গে কেমন আচরণ উচিত, তা পাঠ্যপুস্তক থেকেই শিশুর জেনে ফেলা আবশ্যক। এতে শুধু ইভটিজিং নয়, নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিও অনেকাংশে বদলাবে। এদেশে পুরুষের চেয়ে নারী শিক্ষার হার বেশি। এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে মেয়েরা কাজ করতে পারে না।
মেয়েরা স্বভাবতই শান্ত; ছেলেরা একটু অশান্ত স্বভাবের! তাই সূক্ষ্ম কাজগুলো মেয়েরা যত্ন সহকারে করতে পারে। আমাদের দেশের গবেষণার ক্ষেত্রগুলোর কাজ করার অনেক সুবিধা আছে। তবে, মেয়েদের এগিয়ে যেতে সবার আগে দরকার তার পরিবারের সহযোগিতা। কাজের জায়গা ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশি, তবে কঠিন। কঠিন এ অর্থে, মেয়েদের দুই দিক সামলাতে হয়। কর্মক্ষেত্র এবং সংসার। এ দুটির ভারসাম্য রক্ষা করতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় দুটিকে একই সঙ্গে ঠিক রাখা যায় না। একটিকে বেছে নিতে হয়। অনেকেই সংসারকে বেছে নেয়। এজন্যই কঠিন বলছি। কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের এটা ভাবতে হবে যে, সে সেখানকার একজন কর্মী। এখানে মেয়ে নাকি ছেলে এটা ভাবার সুুযোগ নেই। যে ভাবলো, সে কিন্তু পিছিয়ে গেল। এদেশের মেয়েরা পৃথিবীর যে-কোনো দেশের মেয়েদের চেয়ে বেশি সাহসী! এটা এজন্য বলছি, উন্নত দেশের মেয়েদের সুযোগ করে দেয়া হয়, তারপর তারা কাজ করে। আমাদের দেশের মেয়েরা তো সুযোগ না পেয়েও কাজ করে।
ঐতিহাসিকভাবেই নারী বিভিন্নভাবে দেশের অর্থনীতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে কৃষিতে-এ অবদানটা অনেক বেশি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পোল্ট্রি কিংবা আলু চাষে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে এখনো প্রায় ৮০ শতাংশ। অথচ নারীকে কৃষক হিসেবে স্বীকৃতির মাধ্যমে ভর্তুকি কিংবা কার্ড সুবিধা দেয়া হয় না! এছাড়া দেশের রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পোশাক শিল্প। এখানেও রয়েছে নারীর বিশেষ অবদান। তবুও এখানে এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি নারীর অধিকার। শহরের কয়েকটি শিল্প-কারখানা ছাড়া প্রায় সব শিল্পেই এখনো সর্বনিম্ন মজুরী বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি!
এদেশের মেয়েরা গণিত কিংবা কম্পিউটার প্রযুক্তিতে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই, বরং অনেক ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে! আজকাল একটা ভালো চাকরীর জন্য তরুণ-তরুণীরা প্রচন্ড রকম চেষ্টা করে। এ সুযোগটা কাজে লাগাতে হবে। প্রশিক্ষণ এবং সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে এ প্রজন্মকে আইটি এবং আইটি ইস ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে হবে। তা সে ছেলে হোক কিংবা মেয়ে। এক্ষেত্রে অচিরেই মেয়েরা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে বলে আশা করা যায়। মহিলাদের যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থন-সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের মেয়েদের অনেকের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয়। এ যুদ্ধে অনেক মেয়ে হেরে গিয়ে হারিয়ে যায়, যা দেশেরই ক্ষতি। সমস্যা সমাধানে মিডিয়া খুব চমৎকার ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করি।
মনে রাখতে হবে, প্রশ্ন যেমন আছে তার উত্তরও আছে। রোগ যেমন আছে, তার পথ্যও আছে। আর সমস্যা যেমন আছে, তার সমাধানও রয়েছে অবশ্যই। এটাই তো জগতের নিয়ম।
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত
© Copyright 2025 Dainik Chattalar Dak