শিরোনাম
মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী | আপডেট: ০৫:০৪ পিএম, ২০২৪-০৮-০২ 190
(১) আমি শুধুশুধু অনর্থক যেই ভদ্রলোকটার বিরুদ্ধে আক্রোশ বা ষড়যন্ত্র করি, পরবর্তীতে দেখা যায় তার অনুপস্থিতির কারণে আমাকেই ভোগতে হয় সবচেয়ে বেশি! যেহেতু দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝে না কেউ।
আপনি আপনার যেই সহকর্মীর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে, শুধুশুধু অনর্থক ষড়যন্ত্র বা আক্রোশ করে আসছেন, তিনি যদি আপনার আগেই চাকুরী থেকে অবসর গ্রহণ করেন অথবা স্বেচ্ছায় চাকুরী রিজাইন দেন, তাহলে উনি যে কতো ভাল লোক ছিলেন, তা আপনি হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারবেন।
বিদায় নিয়ে চলে যাওয়া আপনার উক্ত সহকর্মীর স্থলে আরেকজন নতুন লোক আসলেন আপনাদের প্রতিষ্ঠানে। যেমনি বদমেজাজী তেমনি গাদ্দার ও বেয়াদব! আপনাকে কোনো পাত্তাই দেয় না। যদিও বা আপনি বয়সে ও চাকরীর দৈর্ঘ্যরে দিক দিয়ে তার চেয়ে সিনিয়র। আপনার আক্রোশ ষড়যন্ত্র, ছল-চাতুরী এখন আর চলছে না। সোজা কথা আপনি আগে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিদায় নেওয়া সহকর্মীর উপর যে নির্যাতন চালাতেন, এখন আপনি নিজেই নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন। ব্যাপারটা এবার বুঝতে পারছেন তো?
(২) শিক্ষিত-অশিক্ষিত, ধনী-গরীব প্রধানত; এই চার শ্রেণির লোক আছেন! এই চার শ্রেণির মানুষের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ও নানা অজুহাতে মানুষের উপর অত্যাচার, জুলুম করে, নির্যাতন চালায়! এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নির্যাতনকারীদের মধ্যে কোন শ্রেণির মানুষ বেশি এবং কোন শ্রেণির মানুষ কম?
এই প্রশ্নের জবাবে বলতে হয় শিক্ষিত ও ধনী লোকের সংখ্যা বেশি এবং অশিক্ষিত ও গরীব লোকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, নেহায়েৎ কম! এমনকি কোনো কোনো অশিক্ষিত ও গরীব লোক অত্যাচার, জুলুম ও নির্যাতন কী জিনিস-তা ভাল করে জানেন না এবং বুঝেনও না! তাই ক্ষেত্রবিশেষে বা সময়বিশেষে অল্প সংখ্যক ধনী ও শিক্ষিত লোককে উদ্দেশ্য করে’ ধনী যারা খুনী তারা, শিক্ষিত লোক হিংস্র জানোয়ারের সমতুল্য!’-বললে ভুল হবে না বলে মনে করি।
(৩) ধরা যাক, আপনি এখন মধ্যবয়সী একজন ভদ্রলোক। আপনি কবে প্রবীণ হবেন, ভারসাম্য ও স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলবেন- সেই আশায় অপেক্ষা করে বসে আছেন আপনার খুব কাছের কিছু লোক! তখন কেউ আপনার দরকারী কাগজপত্র গোপন করে ফেলবেন, কেউ আপনার টাকা-পয়সা চুরি করে বসবে; নানাভাবে আপনাকে নির্যাতন করবেন- আরো কত কি। সেই কাছের লোকদের মধ্যে আপনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, সন্তান-সন্ততি, জামাতা এমনকি আপনার স্ত্রীও হতে পারেন! একজন সবার ক্ষেত্রে যে উক্তরূপ ঘটনা ঘটে থাকে- তা বলছি না কিন্তু।
(৪) আমি এবং আমার স্ত্রী আমার মেয়ের পোলাপানকে (আমাদের নাতি-নাতনি) যতটুকু ভালবাসি, আদর- স্নেহ করি। আমাদের অবর্তমানে আমাদের ছেলে ও বউমারা (আমাদের ওই নাতি-নাতনিকে ) ততটুকু যে ভালবাসবে, আদর- স্নেহ করবে-তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? এমনও তো হতে পারে, আমাদের সিকি পরিমাণও ভালোবাসবে না, আদর স্নেহ করবে না। আবার এমনও হতে পারে ভাল তো বাসবেই না, বরং অবজ্ঞা, অবহেলা করবে! তবে এ কথাও ঠিক যে, কোনো কোনো মামা-মামীরা তাদের ভাগিনা-ভাগনীকে খুব ভালবাসে, আদর স্নেহ করে, এমনকি নিজেদের পোলাপানের মতো জানে।
লেখক : মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী, রাউজান, চট্টগ্রাম।
মো. রাশেদুল ইসলাম-রাশেদ স্বাধীনতা আর গণতন্ত্র কোথায়? মো. রাশেদুল ইসলাম রাশেদ তোমার দেয়া দেশটা শুধু আছে, নাম ভাঙিয়ে খা...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন: দিক হারা পথিক আফছার উদ্দিন লিটন বেকারত্বের অভিশাপে তরুণদের মনে হাহাকার কে দেবে তাদের কর্মসংস্�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: জনতা ব্যাংক পিএলসি চাক্তাই শাখার উদ্যোগে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নির্দেশত “ ৫০ দিনের বি...বিস্তারিত
মো. বেলাল হোসেন চৌধুরী ‘নারী মাঠে যেতে পারে না’-এ কথা আমরা বলতে চায় না। তারা সব পারে; কিন্ত পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থান �...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: তরুণ প্রকাশকদের অংশগ্রহণে তিনদিনব্যাপী 'সৃজনশীল প্রকাশনা খাত: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্�...বিস্তারিত
মো. ইউছুফ চৌধুরী হযরত মুসা (আ.) এর আমলে দীর্ঘদিন যাবত বৃষ্টি বন্ধ ছিলো। তাঁর উম্মতরা তাঁর কাছে এসে বললো “ হে নবী, আল্�...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak