শিরোনাম
আফছার উদ্দিন লিটন: | আপডেট: ০২:১২ এএম, ২০২৪-০৩-৩১ 422
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন হাতিয়া থানার গ্রুপ কমাণ্ডার ছিলেন। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে থার্ডগ্রেড সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্ত একজন বিদগ্ধ শিক্ষাবিদ। তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সুযোগ্য অধ্যক্ষ এবং হাতিয়া দ্বীপের কৃতি সন্তান। কর্মজীবন সমাপনান্তে পরিবার-পরিজন নিয়ে চট্টগ্রামের লালখান বাজার চাঁনমারি রোডে সানমার টেরানোভায় বহুতল ভবনে বসবাস করে আসছেন। ২০১২ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ পদ হতে অবসর গ্রহণ করেন। অবসর গ্রহণের পর বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা সাংগঠনিক কার্যক্রম ও লেখালেখির সাথে জড়িত। ইতোমধ্যে মুক্তিযুদ্ধে হাতিয়া নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম আকারে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। গ্রন্থ আকারে প্রকাশের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বঙ্গবন্ধু টানেল ও ফখরুল ইসলাম সম্পাদিত মুক্তিযুদ্ধে হাতিয়া গ্রন্থের প্রকাশনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯৫ সালে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা নিয়েও তিনি গ্রন্থ লিখেছেন। এ যাবৎ তিনি অর্ধশত প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন। ইত্তেফাক ও আজাদীতে হাতিয়া প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতাও করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ, কক্সবাজার কলেজসহ একাধিক কলেজ থেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সন্মাননা পেয়ে সন্মানিত হয়েছেন। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। চট্টগ্রাম বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি। চট্টগ্রামের হাতিয়া জনকল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি। চট্টগ্রামস্থ হাতিয়া মুক্তিযোদ্ধা ওয়েলফেয়ারের সভাপতি। এছাড়া তিনি চট্টগ্রামের খুলশীস্থ হাতিয়া ওয়েলফেয়ারের সভাপতি সহ আরও বেশ কিছু সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চট্টলার ডাক পত্রিকার সম্পাদক আফছার উদ্দিন লিটন।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনি কত নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ উপকূলীয় অঞ্চলগুলো ছিল নৌবাহিনির দখলে; তারা দ্বীপের চর্তুদিকে অগভীর নদীতে গানবোট চালিয়ে তীরবর্তী মানুষের উপর পাষবিক নির্যাতন ও লুটপাটে প্রায় ব্যস্ত থাকতো। মুক্তিযোদ্ধারা সৈনিক এবং রাজাকারদের নির্যাতন-নিপীড়ন প্রতিহত করতো।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনাদের সেক্টর কমাণ্ডার কে ছিলেন?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমাদের সেক্টর কমাণ্ডার ছিলেন বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা খালেদ মোশারফ হোসেন। স্থানীয় হাতিয়ার যুদ্ধকালীন কমাণ্ডার ছিলেন অধ্যাপক ওয়ালি উল্লাহ ও ডেপুটি কমাণ্ডার ছিলেন মো. রফিকুল আলম। আর আমি ছিলাম যুদ্ধকালীন গ্রুপ কমাণ্ডার।
আফছার উদ্দিন লিটন: মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান কী?
অধ্যাপক শামসুদ্দিন আহমেদ: আপনারা জানেন ১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বর উপমহাদেশের প্রলয়ঙ্করী ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে হাতিয়াতে প্রায় ১০ লক্ষ লোক মৃত্যুবরণ করেছে। এর মাত্র ১৬০ দিনের ব্যবধানে ২৫ মার্চের কালোরাত্রিতে পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনে দ্বীপবাসি বিপণ্ন ও নিরন্ন হয়ে পড়ে। এ আর্তমানবতার সেবায় মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। আমি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। হাতিয়ার উপকূলে যুদ্ধকালীন সময়ে আমরা নৌবাহিনীর অধীনে ছিলাম। বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌবাহিনীর কমান্ডো জাহাজগুলো প্রতিনিয়ত হাতিয়ার উপকূলে নোঙর করে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি-ঘরে হানা দিয়ে তাদের গৃহের যুবতী মেয়ে ও মা-বোনদের নির্যাতন করতো। শুধু তাই নয় তাদের অনেককেই জাহাজে তুলে নিয়ে পাশবিক অত্যাচারের মাধ্যমে বন্দি করে রাখতো। আবার অনেককেই হত্যা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দিতো। ওইসব নারীদের বিবস্ত্র শরীর নদীর তীরে পড়ে থাকতে দেখেছি। এছাড়া কৃষকদের গরু-ছাগল, মুরগী যা কিছু খাদ্য-সামগ্রী ছিল, তা পাক সেনারা জোর করে জাহাজে তুলে নিতো।
এ দুর্বিষহ অবস্থা থেকে বাঁচার জন্য কমাণ্ডার রফিকুল আলম আমাকে নির্দেশ দেন--এ অত্যাচার নির্যাতন কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়? সে মর্মে আমি ৭ থেকে ৮ জুন মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নদীর তীরে নোঙর করা গানবোটের উপর এসএলআর, এসএমজি রাইফেল নিয়ে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিরাপদ স্থান থেকে তাদের উপর আক্রমন চালায়। তারাও একপর্যায়ে গুলি ছুঁড়তে থাকে; চার-পাঁচ ঘণ্টা অবিরাম গোলাগুলির পর তারা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। এতে আমাদের দুজন মুক্তিযোদ্ধা কিছুটা আহত হয়। ওই স্থানে একটা বাজার ছিল (মিয়ার বাজার) ওই বাজারে আগত ব্যবসায়ীরা দৌঁড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অনেকেই আহত এবং আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ প্রতিরোধের মুখে পাক সেনারা যুদ্ধকালীন সময়ে হাতিয়ার উপকূলে গানবোট ভেড়াতে আর সাহস পায়নি।
অবশ্য এর পূর্বে দু-দুবার হাতিয়ার মূল ভূখণ্ডে এসে স্থানীয় এমএলএ’র (এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন) বাড়িতে গানপাউডার দিয়ে ভস্মীভূত করে ক্ষান্ত হয়নি, আফাজিয়া বাজার ও লইট্টা এলাকায় অনেক হিন্দুর বাড়ি-ঘর পুড়ে দেয় এবং গোলাপ সওদাগর নামে এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে হত্যা করে।
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে আমরা অপারেশন জ্যাকপটের মাধ্যমে হাতিয়া থানা পুলিশ এবং রাজাকারদের আত্মসমপর্ণের মাধ্যমে শতাধিক রাইফেল ও গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়। ওই অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে আমরা হাতিয়া থানা নিয়ন্ত্রণ করি এবং স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জোনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করি।
আফছার উদ্দিন লিটন: মুক্তিযুদ্ধের কী এমন স্মৃতি যা আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায়?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: দিন দিন তাদের অত্যাচারের মাত্রা যখন বেড়ে উঠেছে হাতিয়া ও রামগতি অঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের যৌথ উদ্যোগে রামগতি মিলিশিয়া ক্যাম্প ২৪ নভেম্বর মধ্যরাতে আক্রমন করা হয়। অপ্রত্যাশিতভাবে গোলাবর্ষণের শব্দ শুনে হানাদার বাহিনী হতভম্ব হয়ে পড়ে। সবদিক থেকে তাদের গমনাগমনের পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়। ৭২ ঘণ্টা অবিরাম সম্মুখ সমরে মিলিশিয়ারা প্রচণ্ড বিস্ফোরণে মনোবল হারিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক মিলিশিয়া দুইশত রাজাকার ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দুঃসাহসিক অভিযানে দক্ষিণাঞ্চলে পাক বাহিনীর একটি শক্তিশালী ক্যাম্পের পতন ঘটেছে।
আফছার উদ্দিন লিটন: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অধীনে হাতিয়া থানাধীন উপকূলীয় এলাকায় কতজন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অধীনে হাতিয়া থানাধীন উপকূলীয় এলাকায় দুইশোর অধিক অংশগ্রহণ করেন। সেসময় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বেশির ভাগ ছিল স্কুল-কলেজের ছাত্র, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সংগঠনের তরুণ-তরুণীরা। এছাড়া কৃষক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী উল্লেখযোগ্য।
আফছার উদ্দিন লিটন: মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনার বয়স কত ছিল এবং আপনি তখন কি করছেন?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল উনিশ কিংবা বিশ--তখন আমি ঢাকায় কায়েদে-এ আজম কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ছাত্র ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি বলে আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। স্বাধীনতা উত্তর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছি।
আফছার উদ্দিন লিটন: ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভিড়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত নয় কী?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: ভুয়া শব্দটি অত্যন্ত ঘৃণিত। মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে যারা সরকারি স্বীকৃতি ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে ভুয়ায় বলতে পারি; তারা কোনোভাবেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বা সম্মান দাবী করতে পারে না। তবে, অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা সঠিক তথ্য প্রমাণ, কাগজপত্র হারিয়ে যাওয়া, আগুনে পুড়ে যাওয়া কিংবা বন্যার পানিতে বিনষ্ট হয়ে যাওয়া কিংবা অসচেতনতার কারণে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসেও তারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে পারেনি। যে কারণে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এক্ষেত্রে সরকার এবং মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি। কোনো অবস্থাতেই যেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা উপেক্ষিত না হয় এবং বাদ না পড়েন।
আফছার উদ্দিন লিটন: দেশের অধিকাংশ সেক্টরে এখন যোগ্য জায়গায় অযোগ্য লোকের বিচরণ। যে কারণে প্রকৃত মেধাবীরা এখন অবহেলিত। এ থেকে বের হওয়ার উপায় কী?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় যারা আছেন তারাই শুধু সুযোগ ভোগ করেন। প্রকৃত যারা মেধাবী তারা সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এতে তাদের জীবন-যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আমরা স্বাধীনতা পক্ষের মুক্তিযোদ্ধারা এমন সামাজিক বৈষম্য চায় না। যে সরকার যখন ক্ষমতায় থাকুক না কেন--এ নির্মম বৈষম্য থেকে তাদেরকে মুক্তি দেয়া দরকার। আর বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। তবেই মুক্তিযোদ্ধাদের যে ত্যাগ, শ্রম, রক্ত ঝরা ঘামের সাধনা সার্থক হবে। শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা শান্তিও পাবে।
আফছার উদ্দিন লিটন: আসলে দেশ কি এগিয়ে যাচ্ছে?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আজ ৫২ বছর--কিন্তু তা হলেও আমাদের স্বাধীনতার যে প্রত্যাশা সে প্রত্যাশা আজও পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। তবে অর্জন নিতান্তই কম নয়। ভূ-রাজনীতির চক্রান্তে আমরা নানাভাবে উন্নয়নের পথে বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী, স্বার্থান্বেষী মহল তাদের প্রভুত্ব, আধিপত্য বজায় রাখার জন্য এ বাংলাদেশ নামক ছোট দেশটির উপর তাদের হীন চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা তাঁর পিতার যে কর্মসূচি বাস্তবায়নে ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং বৈষম্যর বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে যাচ্ছে নানা বাঁধা-বিপত্তির মধ্যে। যা উন্নয়ন আজ দৃশ্যমান। আরও অব্যাহত আছে। একটি উদাহরন না দিলে নয়--১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক অবস্থান ছিল ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৭১তম। আর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে সে অবস্থান বিশ^ব্যাংক আইএমএফ হিসাব মতে আমাদের অবস্থান ৩৫তম। এ অভাবনীয় অর্জনের জন্য আমরা গর্বিত। সর্বশেষ বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় তাঁর কালজয়ী উপন্যাস--‘পথের প্যাঁচালি’র শেষ লাইনে বলেছিলেন--“ শত বাঁধা-বিপত্তির মুখেও চলো এগিয়ে যায় আগামীর পথে।”
আফছার উদ্দিন লিটন: বিগত ১০ বছর ধরে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। যে কারণে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা নেই বললেই চলে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এ নিয়ে কি বলবেন?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: দেশের টাকা যারা বিদেশে পাচার করে তারা দুষ্ট প্রকৃতির লোক। যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে তার দেশপ্রেমিক নয়। তারা দেশের শত্রু। জাতির শত্রু। তারা দেশের কল্যাণ কোনোভাবে কামনা করে না। যারা দেশের টাকা অন্যায়ভাবে বিদেশে পাচার করে তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনির মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হোক। অসৎ ব্যক্তি ও চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে তারা রাষ্ট্র ও সমাজে প্রতিনিয়ত দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করে যাবে। এতে সমাজে দরিদ্রতা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি শান্তি-শৃঙ্খলা ব্যাহত হবে। যারা দেশের টাকা ও সম্পদ বিদেশে পাচার করে তাদের বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করা হোক। এভাবেই যদি টাকা পাচার চলতে থাকে দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
আফছার উদ্দিন লিটন: ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে--আপনার মতে আসলে কতটুকু এগিয়েছে?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: সুস্থ দেহে সুন্দর মন, এক্ষেত্রে শরীর চর্চা ও খেলাধুরার কোনো বিকল্প নেই। ক্রীড়া তখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম ছিল এখন তা আত্মসামাজিক উৎকর্ষতার পাশাপাশি ব্যক্তি পরিচিতির এক ভিন্ন মাত্রায় পৌঁছে গেছে। আমাদের ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও আজ ক্রিকেট, ফুটবল, হকি ও বলিভলে পিছিয়ে নেই--তারাও প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করছে। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি ও দেশের পরিচিতির ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের সন্তানদের যে অবদান; তা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। আমরা মনে-প্রাণে কামনা করি তারা বিশ্বের যে কোনো স্থানে আরও বড় মাপের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে নিয়ে আসবে।
আফছার উদ্দিন লিটন: দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের করণীয় কী?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: দুর্নীতি প্রতিরোধে বঙ্গবন্ধু তাঁর স্পষ্ট ভাষণে বলেছেন--“ যারা দুর্নীতিবাজ তাদেরকে রেহায় দেয়া হবে না। সে দৃষ্টিকোণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে আমরা অভাবনীয় সাফল্য দেখেছি। বিশেষ করে ভূমি আইন সংস্কারে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়া এবং ভূমিদস্যুদের দখল নিয়ে নতুন আইন প্রনয়ন করেছেন। শুধু তাই নয়; ভূমিদস্যুদের কাছ থেকে খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে দরিদ্র এবং হতদরিদ্রদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন। এছাড়া সরকারের প্রচেষ্টায় দেশ থেকে দুর্ভিক্ষ, মঙ্গা এগুলো অনেকটা দূরীভূত হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
যান্ত্রিক কৃষির ব্যবহারে ফসল দুই থেকে তিন গুণ বৃদ্ধি, মৎস্য উৎপাদন, গবাদি পশু উৎপাদনে দ্বিতীয়-তৃতীয় অবস্থানে আছে। দেশের গার্মেন্টস শিল্পে--সাফল্যের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গর্ভপাতে--শিশু মৃত্যুহার অনেক কমে এসেছে। নারী শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা এখন উপবৃত্তি পাচ্ছে। সামাজিক সুরুক্ষায় আত্ম-মানবতার সেবায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনার শৈশব কেটেছে কোথায়?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমার শৈশব কেটেছে সামুদ্রিক ঝড়-জলোচ্ছা¦স এবং নিরন্তর নদী ভাঙনের বিপন্ন উপকূলীয় হাতিয়া উপজেলার দ্বীপবাসীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জীবন অতিবাহিত করেছি। প্রতিনিয়ত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাথে সংগ্রাম করে আমাদের জীবন বেড়ে ওঠেছে। সেসময় উপকূলীয় দ্বীপের সাথে মূল ভূ-খণ্ডের যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আমরা দ্বীপের বাইরে লেখাপড়া করতে যেতে হয়েছে। ওইসময় উপকূলীয় দ্বীপে আমরা মাছ ধরা, পাখি শিকার, চাষাবাদে ও ব্যবসায়িক কাজে পরিবারকে সাহায্য করতাম।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনি পড়ালেখা করেছেন কোথায়?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমি হাতিয়ার নিলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছি। হাতিয়ার ঐতিহ্যবাহী ‘হাতিয়া ইউনিয়ন মডেল হাইস্কুল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে এসএসসি পাস করি ১৯৬৯ সালে। ১৯৭২ সালে ঢাকার কায়েদ-এ আজম (শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) থেকে এইচএসসি পাস করি। ১৯৭৬ সালে ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ (জিন্নাহ কলেজ) থেকে বাংলায় অনার্স সম্পন্ন করি। তারপর ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করি।
আফছার উদ্দিন লিটন: আপনি কোন কোন কলেজে শিক্ষকতা করেছেন?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমি ১৯৭৯ সালে হাতিয়া দ্বীপ সরকারি কলেজে বাংলার প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করি। ১৯৯৪ সালে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে বরিশাল বাকেরগঞ্জ সরকারি কলেজে যোগদান করি। ১৯৯৫ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগদান করি। একই বছর ডেপুটিশনে এইচএসটিটিআই(হায়ার সেকেণ্ডারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) কোর্টবাড়ি, কুমিল্লায় সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করি। এরপর ২০০১ সালে বান্দরবান সরকারি কলেজ সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করি। ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজে উপাধ্যক্ষ এবং অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত থাকি। একই বছর চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে যোগদান করি। ২০১১সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগদান করি। তারপর অবসর গ্রহণ করি।
আফছার উদ্দিন লিটন: সংসদ নির্বাচন ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমাদের দেশে একটা লোকশ্রুতি রয়েছে--জীবনের জন্য জীবিকা। জীবিকার জন্য কর্ম। কর্মের জন্য চাই শিক্ষা। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। তাই আমাদের জনপ্রতিনিধিদের জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক থাকা এবং রাখা উচিৎ। দেশের আইন প্রণেতা ও জনপ্রতিনিধি শিক্ষার আলোয় আলোকিত না হলে দেশের উন্নয়ন আশা করা যায় না। এ বিষয়ে লেখক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষকদের দিয়ে কমিটি গঠন করে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।
আফছার উদ্দিন লিটন: ফেসবুক এবং অনলাইন ব্যবহারের দৌরাত্মে বইপ্রেমীরা বইপাঠে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এতে সরকারের করণীয় কী?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: শুধু বর্তমান নয়, অনাগত জগৎ-জীবন ও প্রজন্মের কাছে আমার আর্জি--আপনারা ফেসবুক থেকে দূরে থাকুন। এটি আমাদের ঐতিহ্য ও শেকড়ের মূলে আঘাত হানছে। আপনারা ফেসবুক যত কম ব্যবহার করবেন তত সমৃদ্ধ হবেন। ফেসবুকে যে সময় দেবেন ওই সময়টা যদি আপনারা বই-পত্রিকা কিংবা খেলাধুলায় ব্যয় করতে পারেন; তাহলে আপনারা উন্নত হবেন। জাতি মেধাশূন্য হবে না।
আফছার উদ্দিন লিটন: আগামীতে আপনি কি রকম বাংলাদেশ দেখতে চান?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমি আগামীতে দুর্নীতিমুক্ত এবং জাগ্রত জনতার বাংলাদেশ দেখতে চাই। আমি শোষণমুক্ত বাংলাদেশ দেখতে চাই-- যেখানে গরিব অসহায় মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। আমি সুশাসন ও ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ দেখতে চাই।
আফছার উদ্দিন লিটন: ভূমিদস্যুদের বেপোরোয়া তাণ্ডবে খেলাধুলার পর্যাপ্ত মাঠ নেই দেশের প্রধান নগরগুলোতে। যার ফলে শিশু, কিশোর ও তরুণরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের করণীয় কী?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: কথায় আছে সুস্থ দেহে সুন্দর মন। শারিরীক শিক্ষা খেলাধুলা এখন শুধু বিনোদন নয় আর্থ সামাজিক উৎকর্ষতার পাশাপাশি বিশ্বের সাথে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে। যারা শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ বিনষ্ট করে মাঠ দখলের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। এ ব্যাপারে দেশের সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এখন কথা হলো ডিসি সাহেব রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও হালিশহর আবাহনী মাঠে বাণিজ্য মেলা হলে সেখানে বাঁধা সৃষ্টি করছেন না! অথচ, জিমনেশিয়াম মাঠে বইমেলা হলে ডিসি সাহেবের সমস্যা কোথায়? বইয়ের সাথে তো খেলাধুলার গভির সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বইমেলা চাই। শিশুদের খেলাধুলা চাই। কিন্তু কিছু কিছু আতেল লেখকরা (হিন্দু উগ্রপন্থি সংস্কৃতিকর্মী) ফেসবুকে বইমেলার মাঠ নিয়ে বিরুদ্ধে লিখেছেন। অথচ তারা নিজেদেরকে লেখক, সাংবাদিক দাবী করেন! আমার আরও একটি প্রশ্ন ডিসি সাহেব এবং সুশীল সংস্কৃতি কর্মীদের কাছে--বিগত পচিশ বছর ধরে জেলা প্রশাসকের ছত্রছায়ায় চট্টগ্রাম জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং একাধিক নাম সর্বস্ব তথাকথিত ডেভেলপার নামীয় ভূমিদস্যুরা শিশুদের খেলার মাঠ দখল করেছিলো--তখন সুশীল সমাজ ও ডিসি সাহেবরা কোথায় ছিলেন?
আফছার উদ্দিন লিটন: এবার আপনার পরিবার সর্ম্পকে বলবেন কী?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমার দুই ছেলে এক মেয়ে। বড় ছেলে তানভীর আহমদ বিবিএ, এমবিএ শেষ করে সোনালি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মরত। দ্বিতীয় ছেলে তওহীর আহমদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লেফটেনেন্ট পদে কর্মরত। মেয়ে সাজিয়া আক্তার তুলি বিবিএ, এমবিএ সম্পন্ন করে স্বামী ড. মোস্তফা কামালকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে বসবাস করে। আমার মেয়ের জামাই অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর পদে কর্মরত। একমাত্র নাতনী মারনিয়া কামালকে নিয়ে তারা সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। আর আমার সহধর্মিণী নার্গিস খালেদা আক্তার পুতুল বিবিএ সম্পন্ন করে সুগৃহিনী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
আফছার উদ্দিন লিটন: আমার সর্ম্পকে আপনার মূল্যায়ন কী?
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমাদের সমাজে লোকশ্রুতি রয়েছে প্রতিভা যত বড়ই হোক না কেন প্রকাশ ছাড়া প্রতিভার কোনো মূল্য আসে না। আমাদের সন্তানেরা আধুনিকতার কৃত্রিম যন্ত্রটির দিকে মোহগ্রস্ত হওয়ায় নিজস্ব ঐতিহ্য ছেড়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। একটি মোহ কেটে গেলে পুনশ্চ সংস্থানে ফিরে আসবে। অবহেলিত মেধাবীদের প্রতিভা বিকাশে সমাজ সচেতনদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।
আফছার উদ্দিন লিটন একজন তরুণ লেখক ও সাংবাদিক। প্রকাশকও বটে। ইতোমধ্যে তাঁর অসংখ্য সৃজনশীল বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর উৎকর্ষতা সত্যিই প্রশংসনীয়। অনাগত জীবন ও সৃজনশীল। তাঁর লেখা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ুক। তিনি একজন বড় মাপের লেখক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করুক--এটাই কামনা করছি।
আফছার উদ্দিন লিটন: আমাদেরকে আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ: আমার সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। আপনি এগিয়ে যান বীরদর্পে নিজ প্রতিভাগুণে। আলোর দ্যূতি ছড়ান সর্বত্র। চট্টলার ডাক পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
#মুক্তিযোদ্ধা # সাক্ষাৎকার # এক্সক্লুসিভ#তথ্য-উপাত্ত
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্রা...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak