আজ  শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪


ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা পদে পদে টের পাচ্ছি

  আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক   |   আপডেট: ০১:৩৫ এএম, ২০২৪-০৩-২৪    341

 

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা পদে পদে টের পাচ্ছি

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী। চট্টগ্রামের নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র। অত্যন্ত বিনয়ী এবং সাংস্কৃতিকবান্ধব একজন মানুষ। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। নাজিরহাট কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। নির্বাচন করেছেন ভিপি পদেও। তিনি নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র হওয়ার পর থেকে তাঁর নির্বাচনি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চট্টলার ডাক পত্রিকার সম্পাদক আফছার উদ্দিন লিটন ও এলেন ভট্টাচার্য অনিক।

চট্টলার ডাক : আপনি কেমন আছেন?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী : আমি ভালো আছি।

চট্টলার ডাক : আপনি মেয়র হিসেবে কখন থেকে রয়েছেন?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী : আমি ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ নির্বাচনের মাধ্যমে মেয়র নির্বাচিত হই। দায়িত্বভার নিয়েছি ২০২৩ সালের ৪ মে।

 

চট্টলার ডাক : এটা কী আপনার প্রথম নির্বাচনে আসা?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী : হ্যাঁ। প্রথম নির্বাচনেই আমি প্রথম নির্বাচিত হলাম।

 

চট্টলার ডাক : আপনার রাজনৈতিক পরিচয়টা যদি বলতেন?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী : আমি আসলে ছোটবেলা থেকেই সংস্কৃতির সাথে জড়িত ছিলাম। মূলত দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় আমি ক্লাবভিত্তিক সাংগঠনিক কার্যক্রম জড়িত হয়ে পড়ি। আমাদের পাড়ায় এই স্থানের নাম ছিল জনতা ক্লাব। আর রাজনৈতিকভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি। নাজিরহাট কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। নির্বাচন করেছি ভিপি পদেও। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাথেও আমি জড়িত ছিলাম। আমার ছাত্রজীবন শেষ হবার পরে যুবলীগের সাথে জড়িত হই। বর্তমানে আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে আছি। আমি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও জড়িত।
আপনারা জানেন যে, আমি একজন কলামিস্ট। আমি চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণে নিয়মিতভাবে কলাম লিখি। লায়নস ক্লাবেও আছি। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটেও আছি। বঙ্গবন্ধু একাডেমিতেও আছি। এভাবে রাজনীতি এবং সমাজনীতির সাথে আমি ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছি।

 

চট্টলার ডাক : নাজিরহাট পৌরসভা চট্টগ্রামের মোট পৌরসভাগুলোর মধ্যে কত নাম্বারে আছে?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী : আসলে কোনো নাম্বারিং নাই। তবে আমার পৌরসভা বর্তমানে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছে। আমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসার জন্য। এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং খুব অল্পসময়ের মধ্যেই হয়তো হয়ে যাবে।

 

চট্টলার ডাক : নাজিরহাটের সার্বিক যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে আপনাদের অংশগ্রহণ কতটুকু?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী : নাজিরহাটকে পূর্ণাঙ্গরূপে আলোসজ্জিত করা এবং হালদানদীর উপরে নির্মিত ব্রিজের সার্বিক উন্নয়নে এবং নির্মাণে আমার আপ্রাণ চেষ্টা রয়েছে। নাজিরহাটের বহু রাস্তাঘাটের কাজ আমি করেছি। আমি ইতিমধ্যে গত সাড়ে আট মাসের মধ্যে প্রায় ৯ কোটি টাকার কাজ করেছি। আরও ৬ কোটি টাকার বাজেট ধরা হয়েছে পানি নিষ্কাসনের কাজে। এরই মধ্যে নাজিরহাটের সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি কল্যাণমুখি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি।

 

চট্টলার ডাক: ফেসবুক এবং অনলাইন ব্যবহারের দৌরাত্ম্যে বইপ্রেমিরা বইয়ের প্রতি তাদের আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: বিষয়টা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। অশনি সংকেত বলা যায়। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। এর সুফলের কথা অল্প সময়ে বলা শেষ করা যাবে না। আমারা সেই সুযোগ-সুবিধার যেন প্রকৃত মূল্যায়ন করি। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা পদে পদে টের পাচ্ছি। কিন্তু এটার কুফল যেন অনুগত করতে না পারে, সে জন্যে ছাত্র সমাজ ও যুব সমাজকে সচেতন করতে হবে। সমাজে আমরা যারা সচেতন নাগরিক তারা এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হতে হবে বেশি বেশি।
আমাদের বইয়ের প্রতি যে আগ্রহ-এটা অনেকাংশ কমে গেছে। আজকালকার ছেলে-মেয়েরা দেখি মোবাইল নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে; যে কারণে তাদের বই পড়ার আগ্রহ তেমন থাকে না। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন সমাজকে উদ্যোগী হতে হবে বেশি। নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। এ বিষয়গুলি যদি আমরা ছাত্র সমাজ ও যুব সমাজকে বোঝাতে সক্ষম হয় তাহলে ওই যে বলছি অশনি সংকেত--তা রোধ হয়ে যাবে।

 

চট্টলার ডাক: একজন পরিণত মানুষ হওয়ার জন্য সমাজে সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব কতটুকু?


লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: আমি স্কুল জীবন থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। আমি একজন সংগঠক। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সমাজ কল্যাণ পরিষদ তারপর এরকম আরও অনেক সংগঠন আছেÑআমি তাদের সাথে কাজ করছি। আমার এলাকায় গ্রামের কথা যদি ধরি--যে ক্লাবের আমি সেক্রেটারি ছিলাম--ওই জনতা ক্লাবের নেতৃত্ব আগে বড়রা দিয়েছিল। এরপর আমরা নেতৃত্ব দিয়েছি। এখন আমাদের পরবর্তী জেনারেশন নেতৃত্ব দিচ্ছে। তবে ওই ক্লাবের সাথে আমি এখনও সম্পৃক্ত। এছাড়া আমি আরও বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠনের উপদেষ্টা হিসেবে আছি। সমাজে একজন পরিণত মানুষ হওয়ার জন্য আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে সচল রাখতে হবে। এর মাধ্যমে কিন্তু আমরা স্বাধীনতার চেতনা সমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ার জন্য অন্যতম হাতিয়ার হোক।

 

চট্টলার ডাক: দিন দিন আমাদের সমাজে সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয় হওয়ার কারণ কী?

 

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমাদের যে মানবতাবোধ তা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। এখানে আমাদের অনেক বিষয় কাজ করে--বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, ছোটদের প্রতি স্নেহবোধ, শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মানবোধ কমে গেছে। শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের স্নেহবোধ করবে এবং বেত্রাঘাত করবে তা অনেকটা স্বাভাবিক। যারা গার্ডিয়ান আছে তাদেরকে জানতে হবে এবং তাদের সন্তানদের শিক্ষা দিতে হবে--বড়দের এবং শিক্ষকদের তারা কীভাবে শ্রদ্ধা এবং সম্মান করবে? এ ব্যাপারে শিক্ষক সমাজকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা যখন ছোটবেলায় স্কুলে পড়তাম--তখন শিক্ষকদের খুব ভয় পেতাম; আবার তাদেরকে খুব শ্রদ্ধা করতাম। আর এখনকার ছাত্র-ছাত্রীরা দেখছি শিক্ষকদের ফ্যান হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টা আমরা যদি একটু ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারি তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় থেকে অনেকটা ফিরিয়ে আনা যাবে। আর এক্ষেত্রে শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের সময় শিক্ষকরা আমাদেরকে যে বেত্রাঘাত করতো সেটা না--আমাদেরকে তখন বেত্রাঘাত করলেও আমরা শিক্ষকদের ভয় যেমন পেতাম ঠিক তেমনি তাদের সন্মানও করতাম।

আবারো বলছি শিক্ষক সমাজকে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে আমাদের সামাজিক অবক্ষয় দূরীকরণে মসজিদগুলোর পেশ ইমামরা জুমার নামাজের খুতবার মাধ্যমে কিংবা গীর্জার ধর্মযাজকরা প্রার্থনার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয় নিয়ে আলোচনায় যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। আমি যেটা বললাম খেলার প্রতি যদি আমাদের ছাত্র সমাজ ও যুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করতে পারি তাহলে তাদেরকে দিয়ে সামাজিক মূল্যবোধ অবক্ষয় রোধ ও অবক্ষয়মুক্ত সমাজ গঠন করতে পারবো। শুধুমাত্র খেলাধুলার মাধ্যমে তাদেরকে বহুলাংশে সুপথে ফিরিয়ে আনতে পারবো বলে আমি বিশ্বাস করি।

চট্টলার ডাক: লেখালেখি করতে আপনার কেমন লাগে?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: আমি ছাত্র জীবনে বই পড়তে ভালোবাসতাম। লেখালেখি করার প্রতি আমার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। আমাদের ফটিকছড়ির কিছু মাসিক পত্রিকা আছে--আমি ওই পত্রিকাগুলোতে লিখি। মাঝে মাঝে দৈনিক পূর্বকোণেও লিখতে চেষ্টা করি। যদিও নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর লেখালেখির ভিতটা অনেকটা কমে গেছে। যেহেতু ব্যস্ততা বেড়ে গেছে--তাই।

 

চট্টলার ডাক: আপনি কি সামাজিক দায়বদ্ধতা লেখেন নাকি মনের আনন্দে লেখেন?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: অবশ্যই সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে আমার এ লেখা। আমি মনে করি আমার লেখনির মাধ্যমে মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করবো। আমাদের সামাজিক যে অসঙ্গতি আছে সেগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করি। রাজনৈতিক যে অসঙ্গতি আছে সেগুলোও তুলে ধরার চেষ্টা করি। আমি মনে করি আমার কলম যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সচেতন এবং স্বাধীনতার চেতনায় জাতি গঠনে সহযোগিতা করবে। তাই আমার কলম ধরা।

 

চট্টলার ডাক: দেশে আপনার প্রিয় লেখক কে?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ।

 

চট্টলার ডাক: আপনার কাছে এখন বাংলাদেশের রাজনীতি মানে কী?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: এটা একটা কঠিন প্রশ্ন বলা যায়। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটের কথা যদি বলি আসলে আমরা মাঝেমধ্যে হতাশ হয়ে যায়। আমরা দেখেছি যারা অতীতে নেতৃত্বে ছিলেন--বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান; তিনি অজপাড়া গাঁ থেকে ওঠে এসেছেন। তিনি টুঙ্গিপাড়ার গ্রাম থেকে শেষ পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হয়েছেন। আমাদের গ্রাম থেকে ওঠে এসেছেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানি, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো জনদরদি রাজনীতিবিদরা। এরকম যদি স্বাধীন পূর্ববর্তী নেতাদের কথা বলি তাহলে বলতে হয়--তাঁরা ছিলেন জনগণের প্রতি কমিটেড। তাঁরা মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। দেশের কল্যাণে রাজনীতি করেছেন। জাতির কল্যাণে কাজ করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলে সত্য আমাদের অনেক রাজনীতিবিদের মধ্যে দেখা যায় যে আদর্শগতভাবে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি।

দ্বিতীয়ত, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি এবং অন্যান্য যে রাজনৈতিক দল আছে একেবারেই লোয়ার লেভেলের কথা বলি তো দেখা যায় যে অপ্রিয় কিছু সত্য কথা--কারণ অপ্রিয় সত্য কথা আমাদেরকে বলতে হবে। দেখা যায় আদর্শগতভাবে তারা অনেকটা দুর্বল। ইভেন আমি নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচনে দেখেছি। আমার পাশাপাশি ফটিকছড়ি পৌরসভার নির্বাচনের সময় দেখেছি। অনেকেই টাকার জন্য নিজেকে বিক্রি করে দেন। দলের আদর্শ, নীতি-নৈতিকতা বিসর্জন দেন। টাকা তাদের কাছে গৌণ হয়ে যায়। এরা নৌকা ছেড়ে অন্য রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। এটা আমাদের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ। এটা আমাদের রাজনৈতিক দৈন্য। পরিহার করতে হবে।

আজকাল এখন অনেকেই রাজনীতি করে তারা নেতাকেই চেনে না। তারা বড় ভাইকে চেনে। এ বড় ভাইয়ের রাজনীতি আমাদের সমাজে ক্ষতি করছে। বড় ভাইদের রাজনীতি না করে যদি তারা আদর্শের রাজনীতি করতো তাহলে আজ এমন সমস্যা এবং প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হতো না।

 

চট্টলার ডাক: আপনার মতে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে কিংবা সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম কতো থাকা উচিৎ?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: এটাও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আপনি করেছেন। বাংলাদেশ একটা ডেমোক্রেটিক দেশ। তো এখন ডেমোক্রেসিটা কী রকম হওয়া দরকার? ডেমোক্রেসি মানে এ নয় যে একেবারেই অল্প শিক্ষিত কিংবা ন্যূনতম শিক্ষা জানা লোকজনকে দিয়ে আইন প্রণয়নের জন্য আমরা সংসদে পাঠাবো। ডেমোক্রেসি মানে এ নয় যে--একজন পৌরসভার মেয়র হিসেবে আমি ক্লাস তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণি পাস করা লোককে মেয়র হিসেবে বসাবো। ডেমোক্রেসি মানে এ নয় যে-- সিটি কর্পোরেশনের মতো একটা জায়গায় যাকে-তাকে আমরা বসিয়ে দেব। এর জন্য সরকারের কাছে আমার একটা আবেদন থাকবে, নিবেদন থাকবে--এ বিষয়ে যেনো একটা নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার। একজন সংসদ সদস্য, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কিংবা কাউন্সিলর হতে হলে তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম কতটুকু থাকা দরকার তা নিয়ে প্রায়োরিটি দিয়ে কাজ করতে হবে।
এ যদি হয় তাহলে শিক্ষিত মানুষেরা জনপ্রতিনিধি হতে পারবে। আইন প্রণেতা হতে পারবে। আমরা একটা সুন্দর রাষ্ট গঠন করতে পারবো।

 

চট্টলার ডাক: বঙ্গবন্ধুর সরকারের পর থেকে অংশগ্রহণমূলক সমাজ ব্যবস্থা, সঅংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থা, অংশগ্রহণমূলক বাস্তবায়ন ছিল--আপনি তো পৌরসভায় পাঁচ বছর থাকবেন--এ সময়টাতে আপনি অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা নিয়ে এলাকায় মানুষের জন্য কাজ করছেন?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: অবশ্যই। অবশ্যই। আপনার প্রশ্নটা আমি বুঝতে পেরেছি। আমি যেহেতু একজন জনপ্রতিনিধি। একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নির্বাচন করেছি। আমি একজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছি। জনগণ আমাকে ম্যা-েট দিয়েছে। যেহেতু আমি এখন এলাকার সবার মেয়র। সকল রাজনৈতিক দলের মেয়র। আমার এলাকায় লক্ষাধিক লোক বসবাস করে। ভোটার সংখ্যা ৪৯ হাজার। আশা করছি আগামী নির্বাচনেও আমার এলকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে মূল্যায়ন করবে। জনপ্রতিনিধি হলে যারা প্রতিপক্ষ তাদের কাছে কি রকম আমার মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ, তা আমি আমার অবস্থান থেকে দেখাতে চাই। জানাতে চাই। বোঝাতে চাই। যেনো একজন তরুণ জনপ্রতিনিধি সবার জন্য কাজ করতে পারে।  

 

চট্টলার ডাক: আপনার দায়িত্ব গ্রহণের সময় যদি গত ৯ মাস ধরি, সেই থেকে এই পর্যন্ত সরকার থেকে পৌরসভার জন্য সর্বোচ্চ বাজেট কেমন পেয়েছেন?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: আমার বার্ষিক বাজেট হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা; তারপরেও আমাদের নিজস্ব সোর্স থেকে কিছু আয় হয়ে থাকে। যেমন রাজস্ব আদায়। বছরে প্রায় ১ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে।

 

চট্টলার ডাক: ফটিকছড়ির সংসদীয় আসনের সাংসদ একজন নারী--তাঁর সাথে কি আপনার পৌরসভার কার্যক্রমের উন্নয়ন এবং অন্যান্য প্রসঙ্গে ঐক্যমত হয়েছে?

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: আমি বর্তমানে নব-নির্বাচিত সাংসদ এবং অন্যান্য সকল জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন এবং সন্ত্রাস মাদকমুক্ত নাজিরহাট গড়ার জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগীতা চাই। পাশাপাশি আপনাদের গণমাধ্যমেরও সহযোগীতা চাই।

 

চট্টলার ডাক: আমাদেরকে আপনার সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আশা করবো আপনি সামাজিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে এগিয়ে যাবেন।

লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী: ধন্যবাদ আপনাদেরকেও। আমাকে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্য। ভালোই উপভোগ করেছি আপনাদেরকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময়টি।

 

#সাক্ষাৎকার

#প্রকাশনা

#লিটন

#স্পেশাল

#২০২৪

 

রিলেটেড নিউজ

তরুণ প্রকাশকদের অংশগ্রহণে তিনদিনব্যাপী ‌‌প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন

চট্টলার ডাক ডেস্ক: তরুণ প্রকাশকদের অংশগ্রহণে তিনদিনব্যাপী ‌‌'সৃজনশীল প্রকাশনা খাত: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা' শীর্�...বিস্তারিত


মুসা (আ.) এর আমলে দীর্ঘদিন বৃষ্টি বন্ধ ছিলো!

মো. ইউছুফ চৌধুরী হযরত মুসা (আ.) এর আমলে দীর্ঘদিন যাবত বৃষ্টি বন্ধ ছিলো। তাঁর উম্মতরা তাঁর কাছে এসে বললো “ হে নবী, আল্�...বিস্তারিত


আল-আমিন হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেড

চট্টলার ডাক ডেস্ক: আল-আমিন হাসপাতাল (প্রা.) লিমিটেড ৮৩০, জাকির হোসেন রোড, একে খান মোড়, উত্তর পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম। ...বিস্তারিত


চট্টগ্রামের একে খান মোড়ে রাজমহল রেস্তোরাঁ এন্ড বেকার্সের উদ্বোধন

চট্টলার ডাক ডেস্ক: নগরীর একে খান মোড়ে সুপার রাজমহল রেস্তোরাঁ এন্ড বেকার্সের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছ। সোমবার, ২৯ �...বিস্তারিত


আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছি

আফছার উদ্দিন লিটন: অধ্যক্ষ শামসুদ্দিন আহমেদ। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধ...বিস্তারিত


বিশ্বায়নের যুগে শিক্ষার্থীদেরকে এগিয়ে দেয়ার জন্য সিএসবিএইচ বদ্ধ পরিকর

আফছার উদ্দিন লিটন: কলেজ অব সায়েন্স বিজনেস এণ্ড হিউমেনিটিঁজ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সন্নিকটে পাঁচলাইশ�...বিস্তারিত