শিরোনাম
মো. ইউছুফ চৌধুরী | আপডেট: ০৫:৪১ পিএম, ২০২৪-০৩-২১ 263
ইউছুফ চৌধুরী
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নবুওয়তের প্রাথমিক সময়ে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল একেবারে কম। কাফেররা নবীজীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে সব চেষ্টা চালাতো এবং লোকজনকে তাঁর দিক থেকে ফিরিয়ে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতো। তারা প্রচার করতো যে, তিনি একজন গণক ও পাগল বা জাদুকর।
একদিন মক্কায় এক লোক আগমন করলেন। তার নাম যিমাদ। তিনি ছিলেন একজন হেকিম। চিকিৎসাশাস্ত্রে তার ভালো নাম ছিল। পাগল ও জাদুগ্রস্তদেরও তিনি চিকিৎসা করতেন। তিনি যখন মক্কার লোকজনের সাথে মিশলেন, তখন নির্বোধ কাফেরদেরকে রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে মন্তব্য করতে শুনলেন, "পাগল এসেছে ; আমরা পাগলটাকে দেখেছি।"
যিমাদ বললেন, এই লোকটি এখন কোথায় আছে? আল্লাহ হয়তো তাকে আমার হতে সুস্থতা দান করবেন।
লোকজন তাকে রাসুলুল্লাহর কাছে পৌঁছাবার পন্থা বলে দিলো। তিনি যখন নবীজীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং চেহারা পরখ করলেন, তখন তিনি রাসুলুল্লাহর চেহারার মধ্যে পবিত্র দীপ্তি অবলোকন করলেন।
কিন্তু যিমাদ যে উদ্দেশ্যে এসেছিলেন, সে কথা স্পষ্ট করে বলে ফেললেন। তিনি বললেন, "হে মুহাম্মদ! আমি জাদুটোনার চিকিৎসাও করে থাকি। আমার হাতে আল্লাহ অনেককে সুস্থতা দিয়ে থাকেন। আসুন, আপনার চিকিৎসা করি।"
এরপর তিনি তার চিকিৎসা ও তার কার্যকারিতা সম্পর্কে বক্তব্য শুরু করলেন। নবীজী নিরবে শুনতে লাগলেন।
যিমাদ বলে যাচ্ছিলেন, আর নবীজী নিরবে শুনছিলেন।
নিরবে কার কথা শুনছিলেন? নিরবে শুনছিলেন এক কাফের ব্যক্তির কথা, যে তাঁর তথাকথিত উন্মাদনার চিকিৎসা করতে চায়।
আহ! কত যে প্রজ্ঞাবান ও ধৈর্যশীল ছিলেন প্রিয় নবীজী (সা.)!
যখন যিমাদ কথা শেষ করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত শান্তভাবে বললেন:-
"সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। আমরা তাঁর প্রশংসা করি এবং তাঁর সাহায্য কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়েত দেন, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না। আর তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তাকে কেউ হেদায়েত দিতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি অদ্বিতীয়, তাঁর কোনো শরীক নেই।"
একথাগুলো শুনে কেঁপে উঠলেন যিমাদ। বললেন কথাগুলো আমাকে আবার শোনান।
নবীজী তাকে আবার শোনালেন।
তখন তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমি গণক ও জাদুকরদের কথা শুনেছি। শুনেছি কবিদের কথাও। কিন্তু এমন কথা কারো কাছেই শুনতে পাইনি। কথাগুলো সাগরের গভীর তলস্পর্শী।
আপনি আপনার হাত বাড়িয়ে দিন। আমি ইসলামে দীক্ষিত হবো। নবীজী (সা.) তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন। অন্তর থেকে কুফরের আবর্জনা দূর করার উদ্দেশ্যে সেই হাত ধারণ করলেন যিমাদ। তিনি বলতে লাগলেন, "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।"
এভাবে রাসুল (সাঃ) এর প্রজ্ঞা ও ধৈর্যে সত্যকে আলিঙ্গন করে ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিলেন হযরত যিমাদ (রা.)।
#এ ইউ#
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইসলামি পরিভাষায় নির্দিষ্ট কয়েকটি শব্দ আছে, যে শব্দ গুলো প্রত্যেক মুসলমানই জানেন। কিন্তু এর ব্যবহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি পদ্ধতি ০ ওজন হ্রাস করুন। ০ দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন। ০ দৈনিক ৩০ ম�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগ নিয়ন্ত্রণে না আনলে লিভারে...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: হঠাৎ হার্ট এটার্ক হলে বাঁচবেন কিভাবে? মনে করুন, সন্ধ্যা ছয়টার সময় একা একা বাড়িতে বসে আছেন। বাসার মা�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: মাদকাসক্তি, যৌন নিপীড়নের শিকার আর স্কুলে সহপাঠীদের বেদম মার খাওয়া- চেস্টার বেনিংটনের গল্পের শুরু�...বিস্তারিত
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak