শিরোনাম
আফছার উদ্দিন লিটন: | আপডেট: ০১:৪৫ এএম, ২০২৪-০১-০৩ 304
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী, আংশিক বায়েজীদ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁর নির্বাচনের প্রতীক হচ্ছে কেটলি মার্কা। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতি করেই এই পর্যায়ে এসেছেন। ক্লাস এইট থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে আজকের এ অবস্থানে এসেছেন। তিনি এ অবস্থান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে আছেন। কখনো রাজপথ থেকে সরে যাননি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন চট্টলার ডাক পত্রিকার সম্পাদক আফছার উদ্দিন লিটন ও পরিচালনা সম্পাদক এলেন ভট্টাচার্য অনিক।
এলেন বি অনিক : কেমন আছেন আপনি?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : আলহামদুল্লিাহ ভাল।
এলেন বি অনিক : আপনার রাজনীতিতে আসাটা কত বছর ধরে?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : স্কুল জীবন থেকেই আমি ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমি ছাত্র রাজনীতি করি ক্লাস এইট থেকে। ১৯৮৪ সালে ছাত্রাবস্থায় স্কুলে ছাত্র লীগের সমাজ সম্পাদক ছিলাম। অধ্যয়নকালীন চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলাম। পর্যায়ক্রমে ১৯৯৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। আবার ১৯৯৫ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আমাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত করে। আমাদের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিকূল পরিবেশ ছিল না।
১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পরীক্ষা দিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করার মাধ্যমে আমার ছাত্র জীবন শেষ হই। এরপর আমি ব্যবসায়িক কাজে নিয়োজিত হই। ২০০৩ সালে আওয়ামী-যুবলীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজমের ছাত্র-সংসদের কার্য-নির্বাহী কমিটিতে ছিলাম। ২০১৪ সালে আমি হাটহাজারী মির্জাপুর ইউনিয়নের কার্য-নির্বাহী কমিটির কার্য-নির্বাহী সদস্য হই।
আমার দীর্ঘ ৩৮ বছর রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনোই মুজিব আদর্শ থেকে সরে যাইনি। দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে আমি নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি এবং রাজপথে নেমেছি। কখনো রাজপথ থেকে সরে যাইনি। আমি চট্টগ্রামের স্বার্থ রক্ষা ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সাথে এবং অবিসংবাদিত নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সাথেও ছিলাম। চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনদুর্ভোগ লাঘবে আমি বিভিন্ন সময় রাজপথে ছিলাম। আজও আছি। আমি চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা আন্দোলন, কিছুদিন আগেও ফুসফুসখ্যাত সিআরবি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম সেনানি ছিলাম।
আফছার উদ্দিন লিটন : আপনার নির্বাচনি প্রচারণা কেমন চলছে?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : আমার নির্বাচনি কার্যক্রম চলছে মাশআল্লাহ ভালো। আপনারা জানেন, আমার প্রার্থীতা বাতিল হয়েছিল; নির্বাচন কমিশন অফিসে আপিল করেও প্রার্থীতা ফিরে পাইনি। তারপর আমি হাইকোর্টে রিট করে প্রার্থতিা ফিরে পেয়েছি। এরপর আমি ওমরাতে যাই। ওমরাতে যাওয়াকালে আমার মা ইন্তেকাল করেন। ২০ ডিসেম্বর থেকে আমি নির্বাচনি প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করি। ইতিমধ্যে আমি হাটহাজারীবাসীকে জেগে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা জানেন আমার নির্বাচনি প্রতীক হচ্ছে কেটলি মার্কা। আমি আপনাদের মাধ্যমে আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষের জন্য সেবার মানসিকতা নিয়ে আসতে চাই।
আফছার উদ্দিন লিটন : আপনি নির্বাচিত হলে হাটহাজারীকে কোনরূপে দেখতে চান?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : আপনারা জানেন, সারা পৃথিবীতে যে কোনো রাষ্ট্রে যান বন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করবো। রাজধানী শহর থেকে বাণিজ্যিক শহরের গুরুত্ব অনেক বেশি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১ ও ২ নম্বর দুটি ওয়ার্ড আমার নির্বাচনি এলাকায় পড়েছে।
হাটহাজারীর জন্য সরকারের যে আর্থিক বরাদ্দ আমি আরও বহু গুণ বৃদ্ধিতে নিজের ব্যক্তিগত যোগ্যতাকে কাজে লাগাবো। গত ১৫ বছরে যেসব প্রকল্প অন্যরা সরকারের কাছ থেকে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন--সেগুলো আমি আনার জন্য সচেষ্ট থাকবো। যেমন- মডেল মসজিদ, স্টেডিয়াম, মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, খেলার মাঠ, শিশু পার্ক, জলাধার এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেব। হাটহাজারীর মূল যে সমস্যা তা হলো বেকারত্ব। আমি নির্বাচিত হলে তরুণ-যুবকদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো।
আফছার উদ্দিন লিটন : জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : ইনশাল্লাহ আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত।
এলেন বি অনিক : এক প্রার্থীর সাথে বিভিন্ন প্রার্থীর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে অংশ নেয়াটা কি আপনি ইতিবাচকভাবে দেখেন?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : হ্যাঁ, বিষয়টি আমি ইতিবাচকভাবে দেখি। আমার শতভাগ নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা আছে। আপনারা জানেন, এ আসনে কোনো সময় আওয়ামী লীগের নেতারা সংসদ সদস্য হতে পারে না। জনগণ যদি সচেষ্ট থাকে এবার আমি জয়লাভ করতে পারবো। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র, কোনো ধরনের কারচুপি সহ্য করা হবে না। ইতিমধ্যে আমার গণজোয়ার শরু হয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে যেন কোনোরকম কারচুপি না হয় সে প্রচেষ্টাই থাকবে আমার। জনগণ যদি সত্যিকার মানুষ নির্বাচনে ভুল না করে তবে ইনশাল্লাহ আমি জিতে আসবো। আশা করছি নির্বাচনে হাটাহাজারীতে কোনো ধরনের উচ্ছশৃঙ্খল কাজ-কর্ম, সন্ত্রাসী কার্যক্রম হবে না। তবে কিছু কিছু মানুষ গুজব ছড়াচ্ছে--তা হবে না। আমি আগেই বলেছি গত ৫০ বছরে হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জনপ্রতিনিধি হয়ে আসেনি। অনেক জনপ্রতিনিধি অতীতে কারো ঘাড়ের উপরে বসে নির্বাচন করেছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। এবার তা হবে না।
এলেন বি অনিক : আপনার ব্যক্তিগত যে মেনিফেস্টো আছেÑতার ভাইটাল পয়েন্ট কোথায়?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : আমার ব্যক্তিগত মেনিফেস্টোর ভাইটাল পয়েন্ট হচ্ছে হাটহাজারী বাসীর ন্যায্য পাওনা আদায় করে হাটহাজারীকে রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করানো। প্রযুক্তিগতভাবে সবাইকে শিক্ষিত করে কর্মক্ষম একটি জনগোষ্ঠীতে রূপান্তর করা।
আফছার উদ্দিন লিটন : নতুন প্রজন্মের ভোটারদের উদ্দেশ্যে আপনি কী বলবেন?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : নতুন প্রজন্মের ভোটারদের উদ্দেশ্যে আমার একটাই বক্তব্যÑ-- আমার বয়স মাত্র ৫৩ বছর। নতুন প্রজন্মকে উন্নত এবং কারিগরি শিক্ষা দিয়ে যুগোপোযুগি কারিকুলামে যুক্ত করে উপযুক্ত ও সফল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাকে আমার নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য হাটহাজারীকে প্রযুক্তির কল্যাণের সাথে যুক্ত করতে আমি ইতিমধ্যেই অনেক পরিকল্পনা করেছি। এমপি নির্বাচিত হলে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করবো এ অঞ্চলের যুবক-যুবতীদের--তারা যাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে।
এলেন বি অনিক : হাটাহাজারীতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনার বিষয়ে আপনার পদক্ষেপ কী?
মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : রাজা কখনো চাই না তার রাজ্যের জনগণ শিক্ষিত হোক। আমি চাই হাটহাজারীর জনগণ শিক্ষিত হোক। হাটহাজারীর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আনার বিষয়ে আমার বিশেষ পদক্ষেপ থাকবে। আমি শাসনভার পেলে সবাইকে সাথে নিয়ে এগুতে চাই। আমি হাটহাজারীর সকল ধর্মের সকল মতের মানুষের সাথে কাজ করতে চাই।
আফছার উদ্দিন লিটন : আমাদেরকে আপনার মূল্যবান সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী : আপনাদেরকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত
চট্টলার ডাক ডেস্ক: রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্রা...বিস্তারিত
© Copyright 2024 Dainik Chattalar Dak