আজ  শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪


ইগো নিয়ে চলা ব্যক্তিরাই মানসিক সমস্যায় ভোগেন

  আফছার উদ্দিন লিটন:   |   আপডেট: ০১:৫৯ এএম, ২০২২-১২-৩১    882

 

ইগো নিয়ে চলা ব্যক্তিরাই মানসিক সমস্যায় ভোগেন

এ সমাজে কিছু অমানুষ আছে। এরা চোখ থেকেও অন্ধ। এরা নিজেদেরকে বড় নেতা ও সন্ত্রাসী ভাবে। মানুষের সাথে অন্যায়, অত্যাচার ও জুলুম করতে তাদের ভালো লাগে। এ ধরনের অমানুষ--অসহায় মানুষের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে গায়ে পড়ে ঝগড়া করে। এরা মানুষের সাথে অন্যায় করলে সরি বলে না। তাদের ধারণা, তারা সঠিকপথে আছে। সরি কিন্তু তারা ভুক্তভোগীর সামনে না বললেও জজ, ম্যাজিস্ট্রেট, আইনজীবী ও পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে ঠিকই বলে। বিচারকের কাছে তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য হাতজোড় করে ক্ষমা চাই--যাতে বিচারক তাদের অপরাধ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। তাদেরকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু বিচারক তাদেরকে ক্ষমা করেন না। আর তখন তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। ছোটো হয়। অর্থ অপচয় হয়। সবই হয়। তবুও তাদের মানসিকতা পরিবর্তন হয়না। এটা তাদের ইগো সমস্যা। অথচ, ভুক্তভোগীর কাছে তারা তাদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইলে-সরি বললে ক্ষমা পেতে পারতো।

যারা সত্যিকার মানুষ তারা কোনো অজান্তে ভুল করে অপরাধ করলে এর জন্য তারা মানুষের কাছে ক্ষমা চাই। অনুশোচনা করে। পক্ষান্তরে যারা খারাপ মানুষ এরা শত অন্যায়, অত্যাচার করলেও মানুষের কাছে ক্ষমা চায়না। এটা তাদের ইগো সমস্যা। ইগো সমস্যা তাদেরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে যথেষ্ট নৈতিক ও প্রকৃতশিক্ষার ঘাটতি রয়েছে। যে কারণে আজ সমাজের নৈতিক অধঃপতন হচ্ছে। তাই এমন ইগো থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতে হবে। আমি বড়--আমি অপরাধ করেও ছোটো ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাইবো কেন? এমন মানসিকতা ঝেড়ে ফেলতে হবে।

আবার কিছু ভদ্রবেশী মুখোশধারী মানুষও আছে। তারা ভালো মানুষের রূপ ধরে চলে। সমাজে ভালো মানুষ সাজে। হজ করে হাজি-আলহাজ নাম ভাঙ্গিয়ে গরিবের হক মেরে খাচ্ছে! গরিবের জায়গা-জমি আত্মসাৎ করছে। খাদ্যে ভেজাল করছে। খাদ্য মজুদ করছে। এরা পাহাড়ের জায়গা দখল করছে। আবাদি জমি ভরাট করে স্টিল রোলিং মিলস্ গড়ে তুলেছে। সেখানে আবার সরকারের বৈধ-অবৈধ গ্যাসের অপচয় হচ্ছে। এরা আবার সহজ-সরল মানুষদের নিয়ে মাইজভাণ্ডারি ব্যবসা করে আসছে। এম আলম সাধারণ মানুষদের মাঝে বিবাধ সৃষ্টি করে তাদেরকে দরবারে যেতে বলে। তার দরবারে গেলে নাকি সমাজের যাবতীয় সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভান্ডারি মুক্তি দেন।
অজ্ঞতা, মূর্খতা তাদেরকে পশু বানালেও হুশ নেই। তাদের ধারণা তারা এখনো সত্যিকার মানুষ! দুদক কিন্তু তাদেরকে ধরে না। এরা দুধ-কলা দিয়ে সাপ পোষে। একবার ধরলে তাদের হুশ হয়ে যেতো। বিধাতা সমাজের এমন যন্ত্রণাদায়ক মানুষকে হেদায়েত করো। সাধারণ মানুষকে তাদের ভণ্ডামি থেকে রক্ষা করো। তাদেরকে সত্যিকার মানুষে পরিণত করো।

 --লেখক ও সংবাদকর্মী

 

 

 

 

 

রিলেটেড নিউজ

কিভাবে আপনার ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত রাখবেন?

আফছার উদ্দিন লিটন: ২০২১ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ গণহারে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আইডি রহ�...বিস্তারিত


ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন তারা কী করবেন?

চট্টলার ডাক ডেস্ক: ফুসফুসের রোগে যারা ভুগছেন, শ্বাস-প্রশ্বাসে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে তাদেরকে সুখবর দিয়েছে ডান্...বিস্তারিত


তুমি জেনুইন মিউজিশিয়ান তোমার চিন্তা কী?

চট্টলার ডাক ডেস্ক: সত্তর দশকের শেষ দিকে সোলসের লিড গিটারিস্ট সাজেদুল আলম বিদেশ চলে যান। অনেকে এই শূন্য পদের জন্য আগ্র...বিস্তারিত


পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি

চট্টলার ডাক ডেস্ক: এটা হলো পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম লাইব্রেরি  “ The British Library" যেখানে বইয়ের পরিমাণ প্রায় ১৭০ থেকে ২০০ মি...বিস্তারিত


সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র কসোভো

চট্টলার ডাক ডেস্ক: ইউরোপের বলকান অঞ্চলের স্বাধীন দেশ কসোভো (Republic of Kosovo)। এটি সর্বশেষ স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথি�...বিস্তারিত


রাশিয়ায় ইসলামের প্রসার ঘটছে

চট্টলার ডাক ডেস্ক: রাশিয়ায় মসজিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার গ্রা...বিস্তারিত